সুপ্রীমকোর্টের আদেশ অমান্য করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া সরকারপাড়া গ্রামের টেক্কা খান ও তার শরীকদের ৪টি মৌজার ১৯.০৯ একর জমির খারিজ না দিয়ে খাজনা না নেয়ায় শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমানের বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে টেক্কা খান নামের এক কৃষক তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে কৃষক টেক্কা খান বলেন, উপজেলার বৃ-অঙ্গারু, খারুয়ানন্দী, পোতাজিয়া ও রামকান্তপুর এই ৪টি মৌজার ১৯.০৯ একর জমি ক্রয়সূত্রে আমার পূর্ব পুরুষগণ এই সম্পত্তির মালিক হন। এ সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও আমাদের এ সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে ১৯৮২ সালে সিরাজগঞ্জ সাব-জজ আদালতে আমার পিতা আবুল হোসেনসহ অন্য ওয়ারিশগণ অপর প্রকার ৬৬ নং মামলা দায়ের করে। আমলী আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন। হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্ট এ রায় বহাল রাখেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. মো: আব্দুল মান্নান হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টর রায় বাস্তবায়নের জন্য শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আমরা চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণের জন্য আবেদন করি। কিন্তু শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান নানা তালবাহানা করে গত ২ মাসেও খারিজ বন্ধ রেখে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে টেক্কা খানের অভিযোগ সঠিক নয়। অচিরেই যাচাইবাছাই ও পর্যালোচনা করে এ সম্পত্তির ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণের ব্যবস্থ করা হবে।’ উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ওহাব শেখ, আব্দুল কাদের, আলাউদ্দিন মন্ডলসহ শাহজাদপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।