সুরের এক বিস্ময়করের নাম এ আর রহমান। পারিবারিক সূত্রে তার নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার। ধর্মান্তরের পর নাম রাখা হয় আল্লাহ রাখা রহমান। সেখান থেকেই সংক্ষেপে এ আর রহমান। অনেকে তাকে ডাকেন ‘মাদ্রাজের মোজার্ট’ বলে। ১৯৯২ সালে তামিল ছবি ‘রোজা’র মধ্য দিয়ে সংগীত জগতে আবির্ভাব হয়েছিল জনপ্রিয় এই সংগীত পরিচালকের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বলিউড ও আন্তর্জাতিক সিনেমায় কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রেকর্ডিং আর্টিস্টদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন। তিনি ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ ছবির ‘জয় হো’ গান দিয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পান। এই ছবির মিউজিক ও গানের জন্য জন্য অস্কার পেয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ খান ও মনীষা কৈরালা অভিনীত ‘দিল সে’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকটি এ আর রহমানের
অনন্য এক সৃষ্টি। বলিউডের অন্যতম বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে এটি একটি। একই সিনেমার ‘চাইয়া চাইয়া’ আইটেম গানটিও রহমানের অনবদ্য সৃষ্টি। আজও এই গান শ্রোতার মন-প্রাণ দোলায়। অক্ষয় খান্না ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘তাল’ সিনেমার গানগুলো খুবই জনপ্রিয়। এ ছবির ‘তাল সে তাল মিলা’ গানটি এ রহমানের সৃষ্টি হিসেবে সেরাদের তালিকায় থাকবে। বলিউডের তুমুল আরেকটি গান ‘মুকাবিলা মুকাবিলা’। প্রভুদেবার অনন্য কোরিওগ্রাফি দেখা যায় এই গানে। এটিও এ রহমানের সৃষ্টি। ‘বম্বে’ ছবির ‘তু হি রে’ গানটি বিখ্যাত একটি গান এ আর রহমানের। বলিউডের ‘হাম্মা হাম্মা’ গানটি বেশ জনপ্রিয়। এ গানের স্রষ্টাও এ আর রহমান। এ আর রহমানকে বিখ্যাত করেছে ‘উর্বশী.. উর্বশী’। এটি রহমানের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গান। ‘লাগান’ ছবিতে আমির খান ও গ্রেসি সিংহ অভিনীত ‘রাধা ক্যায়সে না চলে’ এ আর রহমানের অন্যতম সেরা একটি সৃষ্টি। অস্কারজয়ী এ আর রহমানকে ‘রকস্টার’ ছবির ‘তুম হো সাথ মেরে’ গানটিও খ্যাতি এনে দিয়েছে। ‘নাদান পরিন্দে’সহ এ ছবির অন্যান্য গানগুলোও রহমানের সেরা সৃষ্টিদের অংশ।