বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন দেশের প্রচলিত সংবিধান মোতাবেক আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রচলিত সংবিধানে তত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কোন সুযোগ যেহেতু নাই সেহেতু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের আওতায় আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন তো সরকার পরিচালনা করে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে। তিনি বলেন বিএনপি বিগত নির্বাচনে ট্রেন মিস করেছে। আগামী নির্বাচনেও ট্রেনে উঠতে পারবেন না। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করেনা। মন্ত্রী বৃহষ্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্থানীয় নওযোয়ান মাঠে আয়োজিত এই কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামীরীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চূয়ালী যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আকতার জাহান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যক্ষ মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি ও ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপিসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং ডেলিগেটসবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আবার আওয়ামীলীগকে ভোট দেবেন। কারন দেশের মানুষের কল্যানে এ সরকার ব্যপক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে সরকার দেশের ১ কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবি’র মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দ্রব্যমূল্য হ্রাস পাওয়ার ফলে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসার কারনে বিএনিপ’র অস্বস্তির কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। কারন বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসেনা। কাজেই দেশের মানুষের উন্নয়ন আর স্বস্তি বিএনপি সহ্য করতে পারে না। তিনি বিএনপি’র উদ্দেশ্যে বলেন বিগত নির্বাচনে আপানারা ট্রেন মিস করেছিলেন। আগামী নির্বাচনেও আপনারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠতে পারবেন না। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তিনি আরও বলেছেন জনগণকে পুড়িয়ে মারার ক্রানে বিএনপি পুরোপুরি রাজনীতি এবং নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে। সেই কারনে তারা নানাভাবে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। ২০১৮ সালের নির্ব্চানের আগেও তারা ডান বাম অতিবাম অতিডান এবং তালেবান সবাইকে নিয়ে একটি জোট গঠন করেছিল। সেই জোটের ফলাফল ছিল নির্বাচনে মাত্র ৫টি আসনলাভ। এবারও তারা জোট গঠনের চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের পরে কি ধরনের সরকার গঠন করা হবে ত্ ানিয়ে কথা বলেছেন। তারাতো নির্বাচনেই অংশগ্রহন করবেনা। নির্বাচনের পর কি ধরনের সরকার গঠন করা হবে তার আগে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে কিনা তাই ঠিক করুক। মুল কথা হচ্ছে বিএনপি এখন জনগের নিকট থেকে অনেক দুর সরে গেছে। তথ্যমন্ত্রী অতি সম্প্রতি বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন মীর্জ ফকরুল ইসলামের বক্তব্য বিএনপি’র বক্তব্য নাকি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য বিএনপি’র বক্তব্য নাকি রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য বিএনিপি’র বক্তব্য। বিএনপি নেতাকর্মীদর মধ্যে কোন সমন্বয় নাই। তাদের কথা এখন খালি কলসীর মত। বাজে বেশী। সম্প্রতি এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের এক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন ঐ সংগঠনটির এখন তাদের ক্রেডিটিবিলিটি প্রচন্ডভাবে খর্ব হয়েছে। আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার কার্য সম্পাদন করা হচ্ছিল তখন এই সংস্থ্া বিচারের বিরোধীতা তকে যুদ্ধাপরাধেিদর পক্ষ নিয়েছির। বিচার বন্ধ করার জন্য বিৃতি দিয়েছিল। অথচ বিএনপি জামাত যখন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ মারার মগােৎসব চালিয়েছিল তখন এই এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোন বিবৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিতে যখন পাখি শিকার করার মত মানুষ হত্যা করেছিল তার প্রতিউত্তরে এই সংস্থাটি নিশ্চুপ ছিল। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেককে পুনারয় সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদারকে পুনরায় সাধারন সম্পাদক করে ১৪ জনের নাম সম্বলিত আংশিক কমিটির নাম ঘোষনা করা হয়েছে।