শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (ইইডি) দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি ও পদায়ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শিগগির এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী নতুন পদ সৃষ্টি করে জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ২৫তম কাউন্সিল অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীক এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি স্থাপনা করতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যতটা গুরুত্ব দেখা যায়, সেটি রক্ষণাবেক্ষণে ততটা দেখা যায় না। রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে কারণেই অনেক স্থাপনা নির্ধারিত সময়ের আগে নষ্ট হয়ে যায়। এসব স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষা প্রকৌশলীরা বড় ধরনের ভুমিকা রাখছেন। তাদের প্রচেষ্টায় দেশে মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। তবে অন্যদের জন্য স্থাপনা তৈরি করলেও ইইডির জেলা পর্যায়ের অফিসগুলোতে নিজস্ব ভবন নেই। যানবাহন সংকটের কারণে নিয়মিত মনিটরিং কাজ ব্যহত হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা কাজ করবো।
ইইডির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী নতুন পদ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে নানা ধরনের অসন্তোষ রয়েছে? কেউ কেউ দীর্ঘদিন এক পদে থেকেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। আবার অনেক স্থানে পদ শূন্য থাকলেও সেখানে পদায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করা হবে।
এছাড়াও দেশের নয়টি জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী পদ শূন্য রয়েছে, সেখানেও
শিগগির নিয়োগ দিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীদের পদোন্নতি-পদায়ন, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী নতুন পদ সৃষ্টি সংক্রান্ত জটিলতাসহ নানা ধরনের অসন্তোষ নিয়ে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেসব দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী এগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ।