বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তের মধুমতি নদীর তীরবত্তী দিগন্ত জোড়া মাঠে বাঙ্গি ফলের দৃষ্টিনন্দন ফলন হয়েছে। সবুজ-হলুদ রঙে সেজেছে বাঙ্গির ক্ষেত। বাহারী এই মৌসুমী ফল বাঙ্গির বাজারে দরও চড়া। ফলন ও বাজার দরে খুশি চাষীরা। বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানাযায়, বাঙ্গি ফলে রয়েছে প্রচুর শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি। এজন্য গরমে বাঙ্গি ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া বাঙ্গি ফলে সুগার কম থাকায় ডায়বেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের পর বাঙ্গি দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে। অনেকে কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খায়। সরেজমিনে জানাগেছে, চলতি বছরে চিতলমারী উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। স্থানীয় শৈলদাহ গ্রামের বাঙ্গি চাষী কবিতা রানী ঘরামী জানান, উপজেলার শৈলদাহ, বাকপুর, কুনিয়া গ্রামে এবার ব্যাপক বাঙ্গি হয়েছে। তিনি এ বছর প্রায় দেড় একর জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস পরিচর্যার পর ফলন ফলেছে। প্রতিদিন পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের বাঙ্গি প্রতিটি ১৫০থেকে ১৭০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ছোট আকারের প্রতিটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে। স্থানীয় বাঙি ব্যাবসায়ীরা জানান, গরমকালে বাঙি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চিতলমারীতে উৎপাদিত বাঙি ফল ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে।