ধর্ম যার যার বিদ্যালয় সবার, শতবর্ষী গাছ নিধনের বিচার চাই। ধর্মের নামে বিদ্যালয়ের ভূমি দখলের বিচার চাই এবং শতবর্ষী গাছ চুরি নিধনের বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন করে বিদ্যালয়ের কমিটি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণসহ জিয়সতলা ও পঞ্চসার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন। রোববার (৩এপ্রিল) স্কুল ছুটির পরে বিকাল সোয়া ৩টার সময় পুরানো পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সাবেক সভাপতি ফিরোজ দপ্তরী নেতৃত্বে এই মানব বন্ধনটি দীর্ঘ আধা ঘণ্টা ধরে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। বিভিন্ন ফেষ্টুন হাতে নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুরানো জায়গা জবর দখল থেকে রক্ষা করার জন্য মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধনে প্রধান শিক্ষিকা মোতাহারা বেগমের নেতৃত্বে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ মানব বন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে সভাপতি ফিরোজ দপ্তরী ও প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত জায়গার শতবর্ষ পুরানো ৩টি গাছের মধ্যে ২টা গাছ কেটে ফেলেছে সুধির মন্ডল ও কালী দাসের নেতৃত্বে। বিশাল আকৃতির স্কুলের এই গাছ কেউ কাটতে সাহস না পেলেও সুধির মন্ডল কালী দাস সিরাজ সর্দারকে দিয়ে কেটে সাইজ করে ফেলেছেন। একটি গাছ এখনো দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের জায়গায়। সাবেক এই সভাপতি আরো বলেন, দলিলে উল্লেখ রয়েছে এই স্কুলটিতে কি কি আছে। স্কুলটি যদি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয় তবে এই স্কুলের জায়গাটি স্কুলের খেলার মাঠ হিসেবে থাকবে কিন্তু এই স্কুলের জায়গা নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। কোনভাবেই স্কুলের জায়গা দখল হতে দেয়া হবে না। ফিরোজ দপ্তরী বলেন, জোর পূর্বক আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের স্কুলের জায়গায় ওয়াল ও গেট লাগানো হয়েছে। সেই সময় সদর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক আমাকে চাঁদাবাজীর মামলার হুমকি দিয়েছে। পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোতাহারা বেগম জানান, স্কুলের জায়গা রক্ষা এবং কেটে ফেলা গাছ স্কুলের ফান্ডে দিয়ে দেয়াসহ কোনভাবেই যাতে স্কুলের জায়গা কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসন ভূমিকা রাখার জোর দাবী জানাচ্ছি।