গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মিসেস আফরুজা বারী। একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি। ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনকে উজ্জীবিত করার অন্যতম কারিগর তিনি। ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়েও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই নেত্রী। আর তার নেতৃত্বে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ অনেকটাই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নেতাকর্মীরাও হয়েছেন উজ্জীবিত। ঢাকা ইডেন কলেজের একসময়ের ছাত্রলীগের তুখোর মেধাবী ছাত্রী তিনি। এবারে সুুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আসন্ন উপজেলা কাউন্সিলে তাকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করলে এই সংগঠন আরো গতিশীল হবে এমনটাই দাবী তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। এছাড়াও তৃনমুলের নেতাকর্মীদের আকাঙ্খাও পূরণ হবে। সুন্দরগঞ্জের সাবেক এমপি লিটন মারা যাওয়ার পর দুঃসময়ে এ উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তাওেন বড়বোন এই নেত্রী। পরে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী হয়েও স্বল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেন তিনি। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে কাজ করেছেন সব সময়। একে বারে ক্লিন ইমেজের একজন দক্ষ নেত্রী তিনি। বর্তমানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী তিনি। জনপ্রতিনিধি না হলেও নিজ উদ্যোগেই দলীয় প্রোগ্রাম, সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়েজিত রেখেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ মজনু মিয়া জানান, মিসেস আফরুজা বারী একজন পরীক্ষিত নেত্রী, তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। কাপাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, সভাপতি হিসেবে উপযুক্ত ব্যক্তি আফরোজা বারী। তাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। সর্বানন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ চাঁদ মিয়া জানান, আফরুজা বারীকে সভাপতি নির্বাচিত করলে ঝিমিয়ে পড়া কমিটি প্রাণ ফিরে পাবেন। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশীর ভাগ নেতাকর্মী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ দলটির সমর্থিত কর্মীরা মিসেস আফরোজা বারীকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। তারা বলেছেন আফরুজা বারী আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। আওয়ামী লীগ প্রেমীরা তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চায়।