রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কৃষি ক্ষেত্রের ও দৈনন্দিন জীবনে কৃষকরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের কীটনাশক ও রাসায়নিক উৎপাদন করে। দিন দিন এসব কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। শাক-সবজি, লাউ-কুমড়া, বেগুন, বরবটির গাছ, মাঠে ধান, পাট, গমসহ সব ধরণের শস্যের বালাইনাশক হিসেবে এসব রাসায়নিক উৎপাদন ব্যবহার করা হচ্ছে। কলা থেকে শুরু করে আম, আপেল, পেয়ারা, বরই, আঙ্গুর মালটা ইত্যাদি ফল সংরক্ষণ এবং পাকানোর জন্যও নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে এসব খাদ্য খেয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের প্রকোপও বেড়েছে। কৃষি জমিতে ইচ্ছামতো কীটনাশক ব্যবহারে ক্রমেই বাড়ছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত শস্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তবে এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে জমি চাষাবাদে পাওয়ার টিলারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বেতন একটা ব্যবহার হচ্ছে না। জমিতে চারা রোপন, আগাছা পরিস্কারসহ ফসল কাটা-মাড়াইয়ের সকল কাজল কৃষি শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল। মাটে ফসলকে রোগ বালাই থেকে রক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক কীটনাশক। জমিতে একসঙ্গে কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় পাওয়ার স্প্রে। কৃষক সাধারণত হ্যান্ডস্প্রে হেস্তচালিত যন্ত্র দিয়ে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে। জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় মাস্ক ও হ্যান্ডগলব পরিধন আবশ্যক হলেও সচেতনতার অভাবে কৃষি শ্রমিকদের তা পড়তে দেখা যায় না। এতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথমত আমরা কৃষককে কীটনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত আকারই পরামর্শ দিয়ে থাকি। অলোক ফাঁদ এর মাধ্যমে চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। ওসমানি পদ্ধতিতে ঔষুধ। সময় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।