কক্সবাজারে ফিশ অ্যাকুরিয়াম নির্মাণ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে ফিশ অ্যাকুরিয়াম নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ফিশ অ্যাকুরিয়াম স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন। ৪৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের মতো প্রকল্পে পানিসম্পদ বিভাগকে আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। ধীরে কাজ করলে, চলমান কাজ শেষ করার আগেই পুরানো স্থাপনা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে হবে।’
১২ হাজার কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দিলো একনেক: ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পগুলো সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অনুমোদন দেওয়া প্রকল্পগুলো হলো- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৩ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গর্ভন্যান্স (ইউডিসিজি) প্রকল্প, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৪৪৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৩৮৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমনি নিবাস হোস্টেল নির্মাণ বা পুনর্র্নিমাণ প্রকল্পের ১ম সংশোধনী প্রকল্প।
এছাড়াও রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ইরিগেশন ম্যানেজম্যান্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়); পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সেচ ও নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন এবং খাল পুনঃখনন প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) ১৪০০ কোটি টাকা; বিদ্যুৎ বিভাগের দুই হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকায় ডেসকো এলাকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং এক হাজার ৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে।