নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া মৌজায় আদালতের আদেশ অমান্য করে গরীব অসহায় রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের বাসস্থানের ৭০শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে পাকা বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ওই পরিবারের একমাত্র সম্বল বসতবাড়ির জমিটুকু প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে দেয়াল নির্মাণ করায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। মামলার বিবরণীতে জানা যায়,কালিয়া উপজেলার ১০৬ নং খড়রিয়া মৌজার এস,এ ৪৭ খতিয়ানের সে: মে: ১৩১৬১ দাগের (হাল দাগ নম্বর ২৪৩৮৬, ২৪৪৩১ ও ২৪৪২৯) ৭৮শতক জমি রবীন্দ্রনাথ মন্ডল গত ২২.০১.২০০২ তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত কবলামূলে কিনে সেখানে টিনের ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর তৈরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।বাড়ির চারিপাশে তিনি বিভিন্ন প্রকার ফলদ ও বনজ গাছও রোপণ করেন।উক্ত দাগের ২৯শতক জমি একই গ্রামের প্রভাবশালী আমির হোসেন ভোগদখল করা কালে গরীব অসহায় রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের বসতবাড়ির জমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।এক পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জমি বিভাগ বন্টন করে দিতে আমির হোসেনকে অনুরোধ করেন।বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু আমির হোসেন সালিশ-মীমাংসা অমান্য করে নালিশী জমি বিভাগ বন্টন করে দিতে অস্বীকৃতি জানান।গত ২০২১ সালের ৭জুন তারিখে রবীন্দ্রনাথ মন্ডল নড়াইলের জেলা যুগ্ন জজ ২য় আদালতে বিভাগ বন্টনের মোকদ্দমা দায়ের করেন। আমির হোসেন মোকদ্দমার বিষয় জানতে পেরে রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে জোরপূর্বক ওই জায়গা বেদখলের চেষ্টা চালাতে থাকেন।রবীন্দ্রনাথ নিরুপায় হয়ে ২০২১ সালের ১৬ জুন তারিখে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা যুগ্ন জজ ২য় আদালতে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা জানালে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। আমির হোসেন তার ভাই জামির মোল্যা ও জনৈক সালাম মোল্যার যোগসাজশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০২১ সালের ৬জুলাই নালিশী তপশীল বর্নিত জমিতে ঢুকে রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের গোয়ালঘর ভেঙ্গে ফেলে বসতঘর ও রান্নাঘরসহ আনুমানিক ৮শতাংশ জমি রেখে উত্তর পার্শ্ব দিয়ে রাজমিস্ত্রিী দিয়ে জোরপূর্বক পাকা বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেন।রবীন্দ্রনাথ ও পরিবারের লোকজন দেয়াল নির্মাণে বাঁধা দিলে আমির হোসেন ও তার লোকজন রবীন্দ্রনাথ ও পরিবারের লোকজনকে মারধর করে ও খুন জখম করার ভয় দেখায়। একমাত্র সহায় সম্বল জমিটুকু বেদখল হয়ে রবীন্দ্রনাথ মন্ডল পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। খড়রিয়া গ্রামের ছরোয়ার কাজি ও ইনসান মোল্যা জানান,ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমির হোসেন জোরপূর্বক রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের বসতবাড়ির জমি দখল করে সেখানে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেছেন। এ ব্যাপারে আমির হোসেন বলেন, আমি আমার জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়েছি।কারোর জমি জোরপূর্বক দখল করিনি।আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।