ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার উপসর্গ (জ্বর-সর্দি, গলাব্যাথা) নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাতে তিনি মারা যান।
শুক্রবার (২৯ মে) বিকেল তিন টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: রাকিবুল আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে আ: জলিল নামে এক যুবক মৃত্যুবরণ করেন।
ডা: রাকিবুল আলম বলেন, গতকাল সকালে রাণী (২৩) নামে এক নারী করোনার উপসর্গ অর্থাৎ জ্বর-সর্দি ও গলাব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে পি-আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিলো। চিকিৎসা চলাকালিন ভোর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলাফল এলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।
জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারি রাণীর শ্বশুড়বাড়ী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে। তার স্বামীর নাম মো: আকবর। রাণী আকবরের দ্বিতীয় স্ত্রী।
এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের লাশ দাফনে বাঁধা সৃষ্টি করে এলাকাবাসি। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের হস্তক্ষেপে মৃতের বাপের বাড়ী একই উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের সুতবঠিনা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল মামুন বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি তার শ্বশুড়বাড়ী এলাকায় জানাজানি হলে ওই ইউনিয়নবাসি মৃতের দাফন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তার বাবার বাড়ী আকচা ইউনিয়নে হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত’র সহযোগিতায় সুতবঠিনা কবরস্থানে দাফন প্রক্রিয়া শুরু করলে সেখানেও বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আকচা ইউনিয়নের কশালবাড়ী বৈকন্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃতের দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফন কাজে সহায়তা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের করোনা রোগী দাফনে ট্রেনিংপ্রাপ্তরা।
এমআইপি/প্রিন্স