কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেলেও বেশকিছু এলাকায় এখনো প্রচলন রয়েছে এই দেশীয় গরু দিয়ে হাল চাষ। যাহা এখন নীলফামারীর পারা গাঁয়ে কিংবা পল্লী গুলোতে দেখা মলেছে দেশীয় গরু হাল। মানুষ যখন আদি যুগে পেটের তাগিদে মানুষ দিয়ে হাল চাষ করে জীবন যাপন করে আসতে আসতে মানুষ এক সময় পরিবর্তন হতে থাকে মানুষের চিন্তা ভাবনা। হতে থাকে বুদ্ধি, মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে গরু কিংবা মহিষ দিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে নাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ করে মানুষ জীবনকে অতিবাহিত পার করেছে।পরে সেটিও বিলিন হতে থাকে প্রথমে মহিষ হাল চাষ পরে গরু দিয়ে হাল চাষ।পরে আসতে থাকে মানুষের প্রযুক্তি পাওয়া টিলার এবং মাহিন্দ্র মানুষকে আকৃষ্ট করতে থাকে স্বল্প ব্যয়ে কম খরচে জমি চাষাবাদ করতে পারে মানুষ। গত কয়েক যুগ ধরে মানুষ মাথায় নতুন নতুন প্রযুক্তি চিন্তা খাটিয়ে যাচ্ছে যা দিয়ে নতুনত্বের আর্বিভাব ঘটাচ্ছে। এখনো জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গেলে মিলবে পারা গাঁয়ের চিত্র যা মানুষকে এখনো মুগদ্ধ করে তুলে। জেলার ডোমার পাঙ্গা মটুকপুর গ্রামের কয়েক কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা হলে তাড়া জানান আমাদের বাপ দাদার আমলে এসব গরু দিয়ে হাল চাষ করে আসত।পরে আমাদের সময়ের মাঝামাঝি সে সেটি ও একবারের বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি পাওয়া টিলার এবং মাহিন্দ্রর খরচ বেশ বেড়ে যাওয়ায় আমরা আবার গরু দিয়ে হাল চাষ শুরু করেছি। পরে কথা হয় পার্শবর্তি এলাকার খামার বামুনীয়া গ্রামের মনছুর আলীর সাথে তিনি প্রতিবেদককে জানান আমরা শুরুর দিকে যখন গরু দিয়ে হাল চাষ করে আসছিলাম তখন আমাদের জমি তৈরী করতে কোন খরচ হতো না কিন্ত এক বিঘা জমি চাষ করতে অনেক সময় লেগে যেতো নিজেরাই গরু দিয়ে হাল চাষ করতাম। পরে আসতে আসতে পাওয়ার টিলার ও মাহিন্দ্র চলে আসে আমরা ও দেশীয় গরুর হাল ছেড়ে দিতে থাকলাম। কারন জমি চাষ করতে স্বল্প সময়ে হলেও খরচ বেড়ে অনেক বেশি হওয়ায় আবার ও আমরা গরু দিয়ে হাল চাষ শুরু করেছি। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান এখন নুতুন নতুন প্রযুক্তির আর্বিভাব হয়েছে হয়তো একটু খরচ বেশি হয় তবে কিছুটা মানুষ পরিশ্রম থেকে রেহাই পাচেছ। একনো কিছু কিছু জায়গায় গরুর হাল দিয়ে চাষ করার প্রচল আছে।