দুই দশকেরও বেশি পথচলা। তারপরও টেস্ট ক্রিকেট বাংলাদেশের জন্য দুর্বোধ্য এক ধাঁধার নাম। ওয়ানডেতে একটা পর্যায়ে যেতে পারলেও ক্রিকেটের এই সনাতন সংষ্করণে ভালোমতো দাঁড়াতে পারছে না টাইগাররা। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর তারই প্রমাণ। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টেস্টে হতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের রান যথাক্রমে ০, ২, ৬, ৫। অথচ তিনি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন। এমনকি অধিনায়কত্ব নিয়েও। দুঃস্বপ্নের সিরিজে শেষে দেশে ফিরে মুমিনুল হক জানালেন, টেস্ট ক্রিকেট শিখতে হবে তাদের। তার ভাষায়, প্রতিটা টেস্ট সিরিজই তাদের জন্য শিক্ষাসফর। দেশে ফিরে বিমান বন্দরে সংবাদমাধ্যমকে মুমিনুল বলেন, ‘ম্যাচ হারি-জিতি, প্রত্যেক সিরিজেই কিন্তু শেখার অনেক কিছুই থাকে। আপনি যদি শিক্ষা বাদ দেন, তাহলে উন্নতি করতে পারবেন না। আমাদের শেখার অনেক কিছুই আছে।’ ‘ব্যাটিংয়ে স্পিন কিভাবে আপনি হ্যান্ডেল করবেন, টেস্ট ক্রিকেটে সেশনগুলোতে কিভাবে ডমিনেট করা যায়, পিছিয়ে পড়লে কিভাবে ব্যাক করে এগিয়ে যাওয়া যায়, বোলাররা নতুন বলে কিভাবে কোন জায়গায় বোলিং করবে।, পুরনো বলে কোথায় বোলিং করবে, শেষ সেশনে কীভাবে বোলিং করবে; শেখার আসলে অনেক কিছুই আছে। আমার কাছে মনে হয় বাস্তবায়ন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
সারা বছর টেস্ট খেলার পরও উন্নতির শেষ নেই জানিয়ে মুমিনুল আরো বলেন, ‘টেস্টে যদি আগামী দুই বছরও খেলি, সারা বছরও খেলি, টেস্টে উন্নতির শেষ নেই। এটা পাঁচ দিনের খেলা, এই পাঁচ দিনে সব জায়গায়, সব বিভাগে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করতে হবে। টেস্টে আমাদের অনেক উন্নতি করা লাগবে। এটা আমি সব সময় বলি, ম্যাচ জিতলে বলি, হারলেও বলি।’
অধিনায়ক হিসেবে চাপে আছেন কিনা? মুমিনুল জানালেন, ‘ফল না করলে বিশ্বের যেকোনো অধিনায়কের কাছেই চাপ আসবে। জো রুট কিন্তু এক বছরে ৬-৭টি সেঞ্চুরি করেছেন, তারপরও তার কাছে চাপ আসে।’ ‘অধিনায়কত্ব এমন একটা জিনিস, আপনি পারফরম্যান্স না করলে চাপ আসবে। এই লেভেলে আপনাকে চাপ নিতে হবে। আর এই চাপ আপনাকে নিতে হবে। আর আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। একটা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, একটা দেশের অধিনায়ক হবেন, আপনার কাছে চাপ আসবেই। চাপ নিতে না পারলে তো হবে না। যেটা আমি বিশ্বাস করি।’