সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। গত বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচরে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুসনুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। সভায় মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে কুরআনের নাজেরা অর্থাৎ দেখে তেলাওয়াত করা এবং ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কুরআনের অনুবাদ পাঠদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আশাকরি কুরআন তিলাওয়াত ও বাংলা অনুবাদ পাঠদানের মাধ্যমে আমাদের প্রজন্মের সামনে জ্ঞানের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের কুরআন, ইসলাম ও নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিলে সর্বস্তরের জনগণের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হবে। সমাজ থেকে মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাই, খুন-গুমসহ সকল অনৈতিক কার্যকলাপ দূর হবে। সভাপতির বক্তব্যে মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, কুরআন তিলওয়াত ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় তরুণ প্রজন্ম বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার সবস্তরে কুরআন তিলওয়াত ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। হুসনুল কুরআন মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা কামাল উদ্দীন, মুফতি জাকির নাদভী, হাজী নুরুদ্দীন ও মো: মজিবুর রহমান প্রমুখ।