একটি ঘর পেলে শেখের বেটির জন্য দোয়া করতাম” ভাঙ্গা ঘর যেন কোন সময় মাথার উপর ভেঙে পড়ে এই কথাটি বলেই চোখের জ্বল গড়িয়ে পড়ে প্রায় শতবর্ষ বয়সী নারী সবজান বেগমের। স্বামী হারা বিধবা নারীর একটি মাত্র ছেলে। নাম সাত্তার মোল্লা। বর্তমানে সাত্তার মোল্লা ৫ কন্যা সন্তানের বাবা এবং তিনি ভারসাম্যহীন অব¯হায় (পাগল) অবস্থায় আছেন। সংসারে আয় উপার্জন করার মতো কেউ নেই।এলাকার মানুষের কাছে হাত পেতে জীবন যুদ্ধো চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের খুদুরিয়া গ্রামের মৃত রাসেদ মোল্লার স্ত্রী সবজান বেগমের বসবাসের নড়বড়ে ঘরের ঠিকানাই যার ভরসা। জোড়াতালি টিনে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে বিজে যায় সব। ঝড়ের বাতাস ঘরে লেগে কখন জানি মাথার উপর ভেঙে পড়ে সেই চিন্তায় ঘুমও হারাম সবজান বেগমের। স্বামী মারা যায় অনেক আগেই বয়সের ভারে তার কপালে জুটে বয়স্ক ভাতা।সেই ভাতার টাকাও আজ ৬ মাস ধরে পাচ্ছে না। সরকারের অন্য কোন সুবিধাও তিনি পাইনি বলে জানান। সরকার বাড়ীতে বাড়ীতে ঘর দিলেও সবজানের ভাগ্যে জোটেনি একখান ঘর। সবজান বেগম আরো বলেন বয়সের ভারে লাঠি নিয়ে চলি চোখে তেমন দেখিওনা, কোনদিন এক বেলা খাই আবার পানি খেয়েও থাকতে হয়। কত চেয়ারম্যান, মেম্বার আইলো গেলো কেউ আমাগো খবর নেয়না। এখন শেখের বেটি যদি আমারে একটি ঘর দেয় তাহলে মন খুলে আল্লাহুর কাছে দোয়া করতাম।