নাটোরের শস্য ভান্ডার খ্যাত হালতিবিলে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে বোরো ধান নমুনা কর্তনের মধ্য দিয়ে কাটা-মাড়াই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুখময় সরকার। একই সঙ্গে প্রায় শতাধিক কৃষি শ্রমিকের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ওরস্যালাইনসহ শুকনো খাবার বিতরন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সরদার, উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কিশোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, কৃষক-শ্রমিক অন্যান্যরা। এসময় নমুনা শস্য কর্তন শেষে বোরোর উৎপাদনের হার নির্নয় করা হয়। এতে জিরা শাইল জাতের বোরো ধানের বিঘা প্রতি ফলন শুকনো অবস্থায় ১৮ মন ও ভিজা অবস্থায় ২২ মন পাওয়া যায়। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি গড় ফলন হবে ২২ থেকে ২৫ মন। নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, হালতিবিলসহ তার উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ৮০০ হেক্টও জমিতে বোরো ধান চাষাবাদেও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। সেখানে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। এবার প্রায় ৪১ হাজার ২৪৫ মেট্রিকটন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করি সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। ফসলের অবস্থা এবার বেশ ভাল রয়েছে। বুধবার ভোর রাতে ঝড়ের প্রভাবে ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। কিন্তু তাতে সার্বিক উৎপাদনে ক্ষতিকর কোন প্রভাব পড়বে না। আশা করা হচ্ছে, বিগত বছরের ন্যয় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এবার ফলনে কোন ঘাটতি হবে না। আশা করা যাচ্ছে-কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মুল্যও পাবেন।