সচেতনতার অভাবে এবং তথাকথিত সামাজিকতা ও কুসংস্কারে ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে রক্ষায় ২১ এপ্রিল জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয় কিশোর-কিশোরী যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ আলোচনা সভা। ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জামালপুর এরিয়া প্রোগামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। জামালপুর বগাবাইদ উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট রাজনীতিক মো. আলমগীর। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ডালিয়া বেগম।দুপুর ১১টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর বগাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, এসএমসি সদস্য রেজাউল করিম, নগর উন্নয়ন কমিটির সহসভাপতি বিলকিছ বেগম, কিশোরী সুমাইয়া প্রমুখ। সভায় শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, কমিউনিটি নেতা, কিশোর, কিশোরী, এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এরিয়া প্রোগ্রামের সিডিও সমীর কুমার পান্ডে।সভাসূত্র জানায় কিশোর, কিশোরীদের বয়স, স্বাস্থ্যসেবা, বয়ঃসন্ধিকাল, আইনগত অধিকার, যোগাযোগ, খাদ্য, পুষ্টি, যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের উপায়, বাল্যবিয়ে নিরোধ, নিরাপত্তাসহ তাদের বিকাশ ও সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ব্যপারে উপস্থিত সবাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাগরণ তৈরিতে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। একই বিষয়ের ওপর এর আগে শরিফপুর ও লক্ষিরচরে সভা অনুষ্ঠিত হয়।শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।সূত্র জানায় এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।