আর মাত্র কয়েক দিন পর পবিত্র ইদুল ফিতর, ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বেচা-বিক্রিতে। সেই সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন দিনাজপুরের হিলির রবিদাসরা। গত দুই বছর প্রাণঘাতী করোনার কারণে বন্ধ ছিলো সবকিছু। করোনার প্রভাব কাটিয়ে অনেকটা ভাল আছেন নি¤œ আয়ের এসব রবিদাসরা। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হিলির হাসপাতাল মোড়, চারমাথা, সিপি ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে চট বিছিয়ে তার উপর বড় একটি কাঠের বাক্স রাখা। এই চট বসে মানুষের জুতা সেলাই করছেন রবিদাসরা। সেখানে জুতা সেলাই ও রং পালিশ করার সকল সরঞ্জাম সাজানো রয়েছে। আপন মনে অন্যের ছেঁড়া জুতা সেলাই করছেন তারা। বিভিন্ন রং ব্রাশ দিয়ে স্বযতেœ পালিশ করছেন রবিদাসরা। বিভিন্ন জুতা সেলাই ১০ থেকে ১৫ টাকা আর রং পালিশ করা ২০ থেকে ৩০ টাকা। গত দুই বছর করোনার কারণে এসব নি¤œ আয়ের মানুষগুলো তারা তাদের দোকান খুলতে পারেনি। অনেক কষ্টে করে চালিয়েছে সংসার, গত দুই বছরের কোন কাজ করতে পারেননি তারা। বর্তমান করোনা প্রভাব নেই, চলছে সবকিছু স্বাভাবিক মতো। সামনে ঈদ, কাজের অর্ডার পাচ্ছেন বেশি রবিদাসরা। সারাদিনে তারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার কাজ করছেন। হিলি হাসপাতাল মোড়ের রবিদাস রুপলাল বলেন, গত করোনায় আমাদের কাজ-কাম ছিলো না। বর্তমান করোনা নাই, কম-বেশি কাজ পাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভাল আছি। হিলি চারমাথার রবিদাস মিঠু বলেন, বর্তমান অনেক ভাল আছি, কাজ পাচ্ছি ভাল। জুতা সেলাই ও রং করার পাশাপাশি মানুষের নতুন জুতা তৈরি করে দিচ্ছি। এতে আমার ভাল লাভ হচ্ছে। হিলি বাজারের রবিদাস দিলিপ কুমার বলেন, আমরা হিলিতে প্রায় ২৫ জন মতো রবিদাস আছি। বর্তমান টুকটাক কাজ সবাই পাচ্ছি, সারাদিনে যা হয় তাই ভোগবানের কাছে খুশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি তাতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার কাজ হয়। এতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভালই আছি।