আইপিএলে ২২৩ রানের হাই স্কোরিং ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস জয়ের সম্ভাবনা জাগালো ঠিকই। কিন্তু শেষ দিকে ‘নো বল’ নিয়ে উত্তেজনার জন্ম দিয়ে রাজস্থানের কাছে ১৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোস্তাফিজদের দল।
২২৩ রানের টার্গেটের পর শেষটা যে এমন রোমাঞ্চকর হয়ে দাঁড়াবে, তা বোধহয় কেউই ভাবেনি। সেজন্য বড় অবদান রোভম্যান পাওয়েলের। ১৭ ওভার পর দিল্লির স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৭২ রান। পাওয়েল তখন ৩ রানে ব্যাট করছেন। পরের ওভারে দুই ছক্কায় যার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের শুরু। অবস্থা এমন দাঁড়ায় শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৩৬ রান। ম্যাককয়ের প্রথম ৩ বলে পাওয়েল ৩টি ছয় মারলে আশার সঞ্চার হয় ঠিকই। কিন্তু তৃতীয় বলটি প্রায় কোমর উচ্চতায় পড়ায় সৃষ্টি হয় উত্তেজনার। নো বল দাবিতে বাইরে থেকে দিল্লি অধিনায়ক পান্ত তখনই দলকে ডেকে পাঠানোর মতো ইশারা করেন। তাতে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ে ম্যাচে। নষ্ট হয় সময়। বিরতির পর খেলা শুরু হলে পরের ডেলিভারিতে আর কাঙ্ক্ষিত শট নিতে পারেননি পাওয়েল। ৮ উইকেট হারানো ক্যাপিটালস শেষ পর্যন্ত করতে পারে ২০৭ রান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দর্শকতো কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ঋষভ পান্তকে, ‘পান্তই দিল্লির জয়ের সুযোগ নষ্ট করেছে। পাওয়েল জ্বলে উঠেছিল। কিন্তু তার মোমেন্টাম নষ্ট করেছে দিল্লির অধিনায়ক।’ পাওয়েল শেষ বলে ৩৬ রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান ছিল ঋষভ পান্তের। ৩৭ রান করেছেন ওপেনার পৃথ্বী’শ ও ললিত যাদব। রাজস্থানের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৩২ রানে দুটি নিয়েছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপর তা-ব চালিয়েছেন জশ বাটলার। টস হারলেও তার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২২২ রানের পাহাড় গড়ে রাজস্থান রয়্যালস। যা আবার মৌসুমের সর্বোচ্চ স্কোরও। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান ইংলিশ ব্যাটারকে। তবে ফেরার আগে ৬৫ বলে খেলেছেন ১১৬ রানের অসাধারণ ইনিংস। বাটলারের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৯টি ছয়ের মার। তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
তারপর স্কোরটা আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের কল্যাণে। ১৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তবে এই বড় স্কোরের ভিতটা গড়ে দেয় শুরুর ওপেনিং জুটি। ১৫৫ রান যোগ করা ওই জুটি ভাঙে দেবদূত পাডিক্কালের বিদায়ে। এই ব্যাটার ৩৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৫৪ রান। মোস্তাফিজ একটি উইকেট পেলেও খরুচে ছিলেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৩ রান। সবচেয়ে বেশি ৪৭ রান দেওয়া খলিল আহমেদেরও শিকার একটি।