“আজ নিখিলের আনন্দ ধারায় ধুইয়ে দও-মনের কোনের সব দীনতা মলিনতা ধুইয়ে দও”-রবী ঠাকুরের সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে ২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে আলোচনা সভা, সঙ্গীত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুর এর সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের প্রবীন এবং গণমানুষের চিকিৎসক ও সাদা মনের মানুষ পদকে ভূষিত ডাঃ বসন্ত কুমার রায়। প্রধান আলোচ্চক হিসেবে আলোচনা করেন বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক। সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীন রাজনীতিবিদ আবুল কালাম আজাদ, দিনাজপুর নাট্য সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক চিত্ত ঘোষ, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নুরুল মতিন সৈকত, সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোট দিনাজপুরের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মীন আরা পারভীন ডালিয়া। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুরের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন মানবতাবাদী কবি। অসম্প্রদায়ীকের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন স্বোচ্চার। তিনি কখনও উগ্র জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। বাঙালী সংস্কৃতিকে পূণর্জীবিত করতে রবীন্দ্রচর্চার মাধ্যমে আর একটি সংস্কৃতি বিপ্লবের দরকার। তাই আমাদের প্রজন্ম সন্তানদের রবীন্দ্র চর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথকে চিনতে হবে এবং লালন করতে হবে হৃদয়ে। শেষে রবী ঠাকুরের উপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র শিল্পী নুরুল মতিন সৈকত, মোকসেদ আলী, মোঃ আবু সাঈদ, রাবেয়া বসরী এবং দোলন চাঁপা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কোরাস গান পরিবেশন করেন।