সকল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকার থেকে পূর্ণ নামে নাম করণ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ কে কে (কাজী কমর উদ্দিন) গভ: ইনস্টিটিউশনটির নাম যা পূর্বে ছিল তাই আছে। রোববার (০৯ মে) পর্যন্ত স্কুলটির নামের কোন পরিবর্তন হয়নি। অথচ এভিজেএম (আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যোতিন্দ্র মোহন) সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের বালক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো: মুনসুর রহমান খান সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এখন পর্যন্ত পূর্বের নামই বহাল রেখেছেন। বিষয়টি আইনী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি। কে. কে গভ. ইনস্টিটিউশনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন ফিসহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের নানান অনিয়মে ক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। করোনাকালিন সময়ে মুন্সীগঞ্জের কে কে গভ. ইনিস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো: মুনসুর রহমন খান কোন প্রকার বেতন কার্ডে টাকা উল্লেখ না করে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করেছে ৮৮৫ থেকে ১০৮০ টাকা করে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরেুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। স্কুলের জায়গায় দোকান বরাদ্ধ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা, গাছ বিক্রি করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং দূর্নীতির তথ্য। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষযটি গুরুত্বসহকারে দেখছে জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে সংবাদ প্রকাশের পর কে.কে গভ.ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়টি টপ অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্ব মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। সরকারী নীতিমালার অপেক্ষা না করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ না নিয়ে অর্থ আদায়ের মিশনে সফল হয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো: মুনসুর রহমান খান। একটার পর একটা অন্যায় করেই যাচ্ছেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কেন তার ব্যাপারে উদাসীন বিষয়টি সকল জনগণ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে চায়। দেশ ব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম পরিবর্তন করে পূর্ণ নাম ব্যবহারের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: মুনসুর রহমান খান জানান, সব যায়গায়ই ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সামনের গেইটের বিষয়টি অনেক ব্যয় বহুল তাই এটা করা হয়নি। এই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক কোন অন্যায়কেই অন্যায় মনে করেন না।