মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নওগাঁয় গৃহহীন বৃদ্ধা রাবেয়ার রাত কাটে আসমানীর ঘরে ॥ কপালে জোটেনি সরকারের কোন ভাতা

নওগাঁ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ মে, ২০২২

নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চন্ডিপুর ঘনপাড়া গ্রামের রাবেয়া বিবির(৭০) জীবন কাটছে আসমানীর ঘরে। অর্থসম্পদ না থাকায় নিজের একখন্ড জমিতে বাড়ি নির্মানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও এই গৃহহীনের ভাগ্যে জোটেনি মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর অথচ যাদের থাকার মতো বাড়ি রয়েছে তারাই পাচ্ছে সরকারের দেওয়া বাড়ি এবং স্বচ্ছলরা পাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত-লোকমান হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বিবি। অভাব আর অনটনের চাপে তিনি বর্তমানে অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। রয়েছে ৩ছেলে। তারাও ছিন্নমূল। দিনমজুরের কাজ করে নিজেদের সমালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই বাবার রেখে যাওয়া সামান্য একটু জমিতে মাথা গোঁজার মতো একটি বাড়ি নির্মাণ করার মতো সামর্থ নেই তাদের। রাবেয়া বিবি বর্তমানে ভিক্ষা করে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করে কোনমতে বেঁচে আছেন। প্রতিবেশিরা ফেতরা ও অন্যান্য মানুষের সহযোগিতা নিয়ে রাবেয়ার থাকার জন্য কয়েকটি টিন কিনে একটি কুঁড়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি পড়ে তাই বসবাস করা অনেকটাই কষ্টকর। আবার ঝড়ের পর বাতাসে উড়ে যাওয়া টিনগুলো কুড়িয়ে এনে আবার রাবেয়াকে রাতে থাকার জন্য ঘর তৈরি করে দিতে হয়। এভাবেই চলছে রাবেয়ার রাত্রিযাপন। তিনি জানান একটি ঘর কেউ দিলে সেখানে নামায পড়তাম কোরআন শরীফ পড়তাম। রাতে এসে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। স্থানীয়রা জানান, ১৯৫২সালে জন্ম বৃদ্ধা রাবেয়ার। স্বামীকে হারিয়েছে অনেক আগেই। স্বামীকে হারানোর পর ৩সন্তানকে বড় করতে গিয়ে আর অভাব-অনটনের করাল গ্রাসে আজ রাবেয়া অনেকটাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ঘুষ দিতে না পারার কারণে ভাগ্যে জোটেনি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য সরকারের কোন সুবিধা। এই মানুষটির কষ্ট আর আমাদের সহ্য হয় না। আমাদেরও সাধ্য নেই যে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিবো। আমরা বহুবার মেম্বার-চেয়ারম্যানদের বলেছি কিন্তু তারা শোনে না। অথচ যাদের সবকিছুই আছে তাদেরকেই তারা সরকারের ঘর দিচ্ছেন। সরকারের যত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তারাই যারা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছের মানুষ। তাদের প্রয়োজন না থাকলেও পাচ্ছে আর বাহিরে বেশি দামে সেই সুবিধাগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন অথচ যারা পাবার যোগ্য তাদের কপালে তা জুটছে না। স্থানীয় মেম্বার আজিজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বৃদ্ধা রাবেয়ার ঘর খুবই প্রয়োজন। ঘরের জন্য আমি তার নাম তালিকায় যুক্ত করে দিয়েছি। চ’ড়ান্ত অবস্থার কথা একমাত্র চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন যে তার নাম চ’ড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে কি না। চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম রুবেল মুঠোফোনে জানান, রাবেয়ার বিষয়টি তার জানা ছিলো না। তিনি দ্রুত রাবেয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন এবং তার জন্য যা যা করা সম্ভব তা তিনি করবেন। স্বজনপ্রীতির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, আমি বৃদ্ধা রাবেয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তার বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতাসহ তার জমিতে একটি ঘর নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com