চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত সীতাকুণ্ড উপজেলা। সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পসহ জীব-বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সরকারী-বেসরকারী ভাবে বনায়নে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রামাঞ্চলের অনেকেই নার্সারী পেশার সাথে যুক্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফলজ, বনজ, ঔষধি এবং ফুলের চারা উৎপাদনে গ্রামীণ নার্সারীগুলোর রয়েছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। সীতাকুণ্ডে নার্সারী শিল্প বেশ জমে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য নার্সারী গড়ে উঠেছে, বাড়ছে ফলের বাগান। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে নার্সারী ব্যবসায় স্বাবলম্বীদের তালিকা। নার্সারী ব্যবসায় স্বাবলম্বীদের একজন পৌরসভাস্থ আমিরাবাদের বাসিন্দা মোঃ জাফর ইকবাল রাজন। অসীম সাহস, শ্রম, মেধা আর আত্ববিশ্বাস নিয়ে দীর্ঘ ২২টি বসন্ত নার্সারী শিল্পে অতিক্রম করা রাজনের পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত কোন জমি নেই। অন্যের বর্গা/লিজ করা জমিতেই নার্সারী গড়ে তোলে রাজন। বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ পিতার সীমাবদ্ধ সামর্থ আর অভাব অনটনের সংসারে ছোট বেলাতেই চাপে পড়ে রাজন। সীমাবদ্ধ সংসারে লেখাপড়ায় খুব বেশি অগ্রসর হওয়া সম্ভব না হলেও নার্সারীর গাছে গাছে ফুল-ফল ও কলির গন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে রাজনের সাফল্য। রাজনের নার্সারীতে গাছের চারা সর্বনিন্ম ৮টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় এবং কলম চারা গাছ ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন নার্সারীতে নানা শ্রেনী পেশার মানুষ ভীড় করছে বনজ, ফলজ ,ঔষধি, সবজি কিংবা ফুলের চারা ক্রয় করতে। রাজন জানান বর্ষাকালে সাধারণত বনজ গাছের চারা এবং শীতকালে সবজি ও ফুল গাছের চারা বেশি বিক্রি হয়। নার্সারীতে ফুল ও ফলের চারা কিনতে আসা পশ্চিম আমিরাবাদের বাসিন্দা কাজী মোঃ ইব্রাহীম নিজামী জানান, দশম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত আমার ছোট মেয়ে ফারিয়া তাহরিন তানহা বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদে ফুল-ফল ও সবজির দুুটি বাগান করেছে। মেয়ে তানহার আগ্রহে গাছের চারা কিনতে রাজন নার্সারীতে এসে ফুলে-ফলে মনটা বদলে গেল।