সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

লক্ষ্মীপুরে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫০ কোটি টাকার সয়াবিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ মে, ২০২২

সয়াবিন খ্যাত রাজধানী লক্ষ্মীপুর। গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর সয়াবিন। সপ্তাহ খানিক পর মাঠ থেকে সয়াবিন তুলতে প্রস্তুুতি নিচ্ছিল কৃষকরা। পাকা সয়াবিন ঘরে তুলতে না পারায় মহাজনের ঋনের টাকা নিয়ে দুচিন্তায় ও হতাশা হয়ে পড়েছেন তারা। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সয়াবিনের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় ৩৮ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মে.টন। যার বাজার মুল্যে প্রায় ৬শ কোটি টাকা। এ সয়াবিন চাষের সাথে জড়িত রযেছে প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। দেশের ৭০ ভাগ সয়াবিন উৎপাদন হয় এই জেলায়। এবার সয়াবিন চাষও অনেক ভালো হয়েছে। গত বছর প্রতিমণ সয়াবিন বিক্রি হতো ১ হাজার ৬শ থেকে ১ হাজার ৮শ টাকা। এবার সে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে দু হাজার দুইশত টাকা থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর পাকা সয়াবিন ক্ষেত। এর কয়েকদিন আগে বৃষ্টির পানিতের ডুবে যায় সয়াবিন ক্ষেত। এতে করে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশংকা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ। কৃষকরা জানায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুর-সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর পাকা সয়াবিন পানিতে ডুবে গেছে। সপ্তাহখানিক পর এসব সয়াবিন ঘরে তুলতে প্রস্তুুতিও নিচ্ছিল তারা। এছাড়া সয়াবিনের পাশাপাশি,চিনা বাদাম,মুগ ডাল ও মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে এ ক্ষতির আশংকা দ্বিগুন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছেন চাষীরা। কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার হাজী জাফর মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে পাকা সয়াবিন সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। ঋন ও কিস্তির টাকা নিয়ে সয়াবিন চাষ করেছি। এখন সব সয়াবিন বৃষ্টির পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। মতিরহাটের লিটন জানান, এখন কি করে মানুষের দেনা পরিশোধ করব জানিনা। পাকা সয়াবিন ঘরে তুলতে না পারায় মহাজনের ঋনের টাকা নিয়ে দুচিন্তায় ও হতাশা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। একই কথা বলছেন, রামগতির চরপোড়া গাছারা কৃষক রফিক উল্যাহ,মজুচৌধুরীরহাটের মিন্টু ও মোল্লার হাটের মনির মোল্লাসহ অনেকেই। তাদের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি ঘর নির্মান ও খাল বিল সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি জমে তাদের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন জানান, এবার সয়াবিনের আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পাকা সয়াবিন অনেকটাই এখন পািনর নিছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির সয়াবিন পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ক্ষতি হবে ৫০ কোটি টাকার বেশি। যদি সামনে জোয়ার বা বৃষ্টি হয়,তাহলে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, দেশের উৎপাদিত সয়াবিনের ৭০ ভাগ সয়াবিন উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুর। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে অনেক সয়াবিনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরির পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষেেদর মধ্যে প্রনোদনা দেয়ার আশ^াস দিয়েছেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com