মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন গাজীপুরের মনিরা সুলতানা

বশির আলম টঙ্গী (গাজীপুর) :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২

মনিরা সুলতানা গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন দেশি বিদেশি উদ্ভিদের এক বিশাল সমারোহ। আর এ কাজে উৎসাহ ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন স্বামী আকরাম হোসেন। মনিরা শখের বশে ২০১৪ সালের দিকে অল্প কিছু গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এরপর এটিকে উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিক করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের ঔষধি গাছ, সবজি ও নানা ধরনের ফলের গাছ আমদানি করেন। স্বামী আকরাম হোসেন যতবার বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন, ততবার তার জন্য নিয়ে এসেছেন কোনো না কোনো উদ্ভিদের জাত। তার ছাদ বাগানে সব মিলিয়ে উদ্ভিদের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৯টি। এর মধ্যে ঔষধি গাছ আছে ৪০ প্রজাতির। শোভাবর্ধনকারী গাছ আছে ৫৬ প্রজাতির। বিশেষ প্রজাতির গাছের সংখ্যা ২৬টি। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ আছে ৭ প্রজাতির। ফলজ গাছের সংখ্যা ৯৯টি। অন্যান্য অন্তত ১০০ প্রজাতির গাছ আছে তার ছাদে। তিনি বলেন, ছাদটি পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে সেখান থেকে কিছু চারা বিক্রি করেছেন। এর পরেই মাথায় এলো আরও বড় পরিসরে ছাদে বিভিন্ন ঔষধি গাছ ও ফলমূলের চারা উৎপাদন করবেন। একই সঙ্গে চারা উৎপাদন, ছাদ কৃষিতে উদ্ভিদের পরিচর্যা ও অল্প জায়গায় সর্বোত্তম ব্যবহার নিয়ে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেবেন। তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘প্লান্টস ফ্রম মুন’ নামের একটি গ্রুপ খুলেন। সেখানে সদস্য হলেন অসংখ্য মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন। তার ছাদে তিনি মাছও চাষ করছেন। মাছের হাউস থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে গাছের গোড়ায় দেন তিনি। এতে গাছ অনেক পুষ্টি পায়। এ ছাড়া বাড়িতে উৎপাদিত সবজির উচ্ছিষ্টাংশ বিশেষ পদ্ধতিতে জৈবসারে রূপান্তর করেন। এসব সার বাজারে পাওয়া যেকোনো সারের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। অরগানিক সবজি উৎপাদনের জন্য তিনি এগুলো গাছকে খাবার হিসেবে দেন। প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মনিরা সুলতানা বলেন, ছাদ কৃষিতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। তাই প্রতিবছর প্রশিক্ষণ, চারা ও বীজ বিতরণসহ সেমিনার করি। আশা করি আগামীতে কৃষিতে আমরা আরও ভালো করব। স্বামী আকরাম হোসেনের অনুপ্রেরণায় তিনি ছাদ কৃষি শুরু করেন বলেও জানান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য এ বছর ৭ ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার। ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কার প্রাপ্তদের সনদপত্র এবং অর্থ প্রদান করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com