কেরানীগঞ্জে লিজের জমি বিক্রির অভিযাগ উঠেছে ভুমিদস্যু একটি চক্রের বিরুদ্ধে। জমি বিক্রিতে বাধা দেয়ায় ইজারাদারদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে চক্রটি। রোববার বিকালে কোনাখোলা এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মলনে এসব অভিযাগ করেন ভুক্তভোগী ইজারাদার জয়নাল আবেদীন। লিখিত বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন বোয়ালী মৌজার সিএস খতিয়ান ৪৯৫, ১৪৫, ৬৪৬, ৫১৬ দাগ নং যথাক্রম ১৩৪, ১৩২, ৮৯, ৮৪ মোট ৮০ শতাংশ ‘ক তালিকা’র ভুমি আমি দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে ভোগদখল করছি এবং নিয়মিত সরকারি খাজনা পরিশোধ করছি। কিন্তু সম্প্রতি এসএম কামালের নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু চক্র আমার ইজারার জমিসহ আরও দুই ব্যক্তির (মনির হাসান ও মো: আলী) ইজারাকৃত জমি দখলের পায়তারা করছে। ইতিমধ্যে আমার ইজারাকৃত ৬৪৬ খতিয়ানের ৮৯ দাগের কিছু জমি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অন্য লাকের কাছে বিক্রি করেছে। একইভাবে চক্রটি মো: আলীর ইজারাকৃত (খতিয়ান নং ১৪৫ দাগ নং ১৩২) জমিও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যম বিক্রি করেছে। জয়নাল আবেদীন আরও বলন, সরকারি লিজের জমি বিক্রিতে বাধা দেয়ায় এসএম কামালের নির্দশে তার ভাগিনা রাজু লিজ গ্রহিতা ৩ জনসহ আত্মীয় স্বজনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়। এরপর চক্রটির পক্ষ হুমায়ুন নামে এক ব্যক্তি একইভাবে তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মারধরের মিথ্যা মামলা করেছে। লিজ গ্রহিতা ৩ জনর মধ্যে মনির হোসেন দুই বছর ধরে মালেশিয়া প্রবাসী। অথচ এসএস কামালের ভাগনে রাজুর দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় তাকেও আসামী করা হয়েছে। সরকারি জমি রক্ষা করতে গিয়ে আমরা ভূমিদস্যু চক্রটির রোষানলে পড়ে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। এবিষয়ে এসএম কামালের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কেরানীগঞ্জের এসিল্যান্ড (মডেল থানা সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল রনি বলেন, লিজের জমি বিক্রি করা যায় না। লিজের জমি বিক্রি হয়েছে মর্মে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।