চট্টগ্রাম লোহাগাড়া পশ্চিম আমিরাবাদ ২নং ওয়ার্ড আলুরঘাট সংলগ্ন ও সাতকানিয়া দুই উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দুই সীমানার প্রাচীর এলাকায় ডলু নদী থেকে স্কেভেটর দিয়ে ক্রমাগত মাঠি কাটার ফলে ডলু খালের পশ্চিম তীরের জনবসতি ও খালের পাশ দিয়ে আলুরঘাট- সেনের হাট সংযোগ সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনি বিগত কয়েক বছরে ডলুর ভাঙ্গনে ২০টি বসতঘর ও কবরস্থান সম্পুর্ন বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুকিতে আছে ৩০ বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে ঐ খালের পাড় সাইড ভেঙ্গে মাঝখানে যে মাঠি পড়েছিল তা উত্তোলনের কারনে সড়ক ধ্বসে দীর্ঘদিন আমিরাবাদ – আলুরঘাট- সেনের হাট সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ সময় ওই সড়কে যোগাযোগকারী হাজারো মানুষের দূর্গতি চরম আকার ধারণ করেছিল। সরকারীভাবে খালের বালু বা মাঠি মহাল ইজারার মাধ্যমে বৈধভাবে উত্তোলনের শর্ত থাকলেও নেই কারো যথাযথ সনদ। খাল পাড়ের জনবসতি ও কবরস্থানের পাশ ঘেষে নির্বিচারে মাঠি উত্তোলন করছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী একটি মহল। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে ওই সিন্ডিকেট নদীর আলুরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম আমিরাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা হতে নির্বিচারে মাঠি উত্তোলন করছে। ফলে খালের দু’তীর ধ্বসে ইতোমধ্যে ২০ পরিবারের বসত ভিটে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে তারা খোলা আকাশের নীচে গাছ তলায় মানবেতর দিনাতিপাত করছে। শুধু তাই নয়, নির্বিচারে স্কেভেটর দিয়ে মাঠি উত্তোলনের কারনে সোনাকানিয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক ধ্বসে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া যে কোন সময়ে আবার ভেঙ্গে পড়তে পারে আমিরাবাদ-আলুরঘাট-সেনের হাট সড়কটি। এলাকার বৃদ্ধ নুর আহমদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, নুর আয়েশা, আবদুর আলীম জানান, বিগত কয়েক বছরে ডলুর ভাঙ্গনে ২০টি বসতঘর ও কবরস্থান সম্পুর্ন বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুকিতে আরো ৩০ বসতবাড়ি। এখনই যদি ডলু খাল থেকে মাঠি উত্তোলন বন্ধ করা না হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট কবরস্থান, ফলজ ও বনজ বাগান, ফসলি জমি, চলাচলের রাস্তাসহ ঐ ৩০ পরিবারের বসত ভিটে খালের পেটে বিলীন হয়ে যাবে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আরও জানান, এ বিষয়ে আমরা আইন প্রয়োগকারী লোকদেরকে অনুরোধ করে কোনো সুরাহা পাইনি। দুই উপজেলার সীমানা হওয়ায় অনেকেই এসে দায়সারা হয়ে চলে যায়। আবার দেখা গেছে অনেক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং কথিত কিছু সাংবাদিক এসে ছবি-ভিডিও নিয়ে মাটি পাচার সদস্যদের সাতে আঁতাত করে তারাও গায়েব হয়ে যায়। এতে প্রশাসনের অদৃশ্য ভূমিকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামীণ জনপদ। মাটি কাটায় জড়িতদের ও পাচারের এক সদস্য মেম্বার এহসান বলেন, চরগুলো লিজ হয়েছে। সেখান থেকে আমরা বালু ও মাটি কাটছি। তাছাড়া চিহ্নিত দরপত্রের বাইরে যেগুলো কাটা হচ্ছে, তার ক্ষতিপূরণও জায়গার মালিককে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার এলাকায় ডলুর তীরে যে মাটি কাটা হচ্ছে তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে কাটছে আমি জানিনা। কিন্তু টপ সয়েল লিজ নেওয়ার বিষয়টা আমার বুঝে আসে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্লাহ সাংবাদিককে বলেন দরপত্রে চিহ্নিত মাপের বাহিরে মাটি কাটা হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।