জিমেইলসহ অন্যান্য ই-মেইল পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্প্যাম ই-মেইল খুবই পরিচিত। সাধারণত এটি খুব বেশি উপদ্রব না করলেও মানুষের উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলছে। অ্যান্টিভাইরাস পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির তথ্যানুযায়ী, স্প্যাম মেসেজ ডিলিট করা, ফোল্ডার চেক করাসহ বিভিন্নভাবে ব্যবহারকারীরা প্রতি বছর ৮০ ঘণ্টারও বেশি হারাচ্ছেন। খবর টেকরাডার। সিকিউরিটি বুলভার্ডের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতিদিন বিশ্বে যে পরিমাণ ই-মেইল তৈরি হয়, তার মধ্যে ৪৫ থেকে ৮৫ শতাংশ স্প্যাম। যেগুলোর মধ্যে ম্যালওয়্যারসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ফাইল থাকে। তবে সবাই সমপরিমাণ স্প্যাম ই-মেইল পায় না। যারা প্রতিদিন ৩০টির বেশি বহিরাগত ই-মেইল পায়, তারাই প্রতি সপ্তাহে ৩০টির কাছাকাছি স্প্যাম মেসেজ পায়। এসব মেইল যাচাই, ডিলিট ও অন্যান্য কাজে প্রতি বছর তাদের ৫ ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ের প্রয়োজন হয়।
যারা প্রতিদিন বাইরে থেকে ৩০টি ও ৬০টি ই-মেইল পান, তাদের বছরে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় একই কাজে ব্যয় করতে হয়। পাশাপাশি যারা প্রতিদিন ১০০ ই-মেইল পান, তাদের ১৮ ঘণ্টা বা দুই কর্মদিবস ব্যয় করতে হয়। সর্বশেষ যারা ১০০-এর বেশি স্প্যাম ই-মেইল পান, তাদের ইনবক্স খালি করতে বছরে ৮০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। ক্যাসপারস্কির ই-মেইল থ্রেটস প্রটেকশন বিভাগের গ্রুপ ম্যানেজার আন্দ্রে কোভটুনের মতে, বছরে ৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় হওয়াকে সে রকম কিছু মনে না হলেও এর অন্তর্নিহিত ক্ষতির বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, শতাধিক কর্মচারীর কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসেবে ব্যক্তি অনুযায়ী এ সময় বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে। যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ আরো বেশি।