প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে উঠে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও সমুদ্র প্রতিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ব¬ু-ইকোনমি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গতকাল শনিবার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস- পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের স্লোগান ‘একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন’ প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশই প্রাণের ধারক ও বাহক। পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ন এবং সম্পদের অতি ব্যবহারের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ অনেকটাই বিপর্যস্ত। হ্রাস পাচ্ছে জীববৈচিত্র। মানবসৃষ্ট কারণে পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে সরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। সরকার ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অংশ হিসেবে আপডেটেড ন্যাশনালিটি ডিটারমাইন্ড কনট্রিবিউশান (এনডিসি) এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান প্রস্তুত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপথকে জলবায়ু বিপদাপন্নতা থেকে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং তা থেকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। সরকারের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিবেশ সংরক্ষণে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।