পবিত্র ঈদুল আযহায় এবার চট্টগ্রাম জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার। চাহিদা অনুপাতে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত রয়েছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১ টি রেড চিটাগাং ক্যাটল বা অষ্টমুখি লাল ষাঁড়। ঘাটতি রয়েছে মাত্র ২৯ হাজার ৪৯৯ টি। যা আশে পাশের জেলা থেকে যোগান আসবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসাইন। গত বছর জেলায় কোরবানি হয়েছে ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৫ টি। চাহিদা পূরণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪ টি (৩৭ হাজার ৭০০ লাল ষাঁড়সহ)। এবারো প্রতিবছরের মতো কোরবানি ঈদে চট্টগ্রামবাসীর পছন্দের শীর্ষে থাকছে জেলার স্থানীয় ও উন্নমান জাতের রেড চিটাগাং ক্যাটল বা অষ্টমুখি লাল ষাঁড়। মজুদ বা উৎপাদিত কোরবানির পশুর মধ্যে ঘাঁড়, বলদ, মহিষ, ছাগল ভেড়াও রয়েছে। এবার নির্ধারিত স্থানসহ একাধিক জায়গায় কোরবানির পশুর বাজার বসবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মমর্তা। জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারো পবিত্র ঈদুল আয্হার পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে জেলার হাজার হাজার খামারী ও গৃহস্ত পরিবার বছরজুড়ে পশু লালনপালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। সে হিসাবে জেলায় এবার নির্ধারিত ৪ হাজার খামারসহ মৌসুমী আরো প্রায় ১০ হাজারসহ ১৪ হাজার খামারে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আয্হাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পশুর খামারগুলোতে চলছে ব্যাপক কর্ম ব্যস্ততা ।
গত বছর পশু বিক্রির ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল মহামারি করোনা ভাইরাস। এবার সেটি না থাকায় খামারিদের মধ্যেও রয়েছে স্বস্তি। তবে গতবারের মতো এবারো অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি অব্যাহত থাকছে। বাঁশখালী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ূয়া বলেন, তার উপজেলায় এবার ২১ হাজার ঘাঁড়, ৫ হাজার ৪৫ বলদ, ১ হাজার ৫৯টি গাভী রয়েছে, এছাড়া ২০২১ টি ভেড়া ও ৮ হাজার ৯৮৩ টি ছাগল রয়েছে। পটিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জপু চক্রবর্ত্রী বলেন, তার উপজেলায় এবার ৩২ হাজার ৯৬৩ টি ষাঁড়, বলদ ১১ হাজার ২৩৬ টি, মহিষ ৪ হাজার ২৮৫, ছাগল ১০ হাজার ২৪৯ টি ও ভেড়া রয়েছে ৫ হাজার ৪৪৯ টি।
চট্টগ্রাম ডেইরী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক মোহাম্মদ ওমর বলেন, চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় তাদের নিবন্ধিত প্রায় ১০ হাজারের বেশি খামারে এবার কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরবানির পশুর হাট এখনো জমে ওঠেনি। এবার সিটি কর্পোরেশনের ছয়টিসহ জেলার সব হাট-বাজারে কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল গঠন করা হচ্ছে।