ঢাকার অদূরে চট্টগ্রামে একটি গানের দৃশ্যায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘দাম পাড়া’ সিনেমার শুটিং। আনন জামানের পরিচালনায় সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও আশনা হাবিব ভাবনা। এখানে ফেরদৌসকে দেখা যাবে এসপি শামসুল ইসলামের চরিত্রে এবং তার স্ত্রীর চরিত্রে ভাবনা। সিনেমাটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘শুরুতেই যেটা বলতে চাই-তা হলো, সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ তাদের কাছ থেকে কাজের বাইরেও অনেক কিছু শেখা যায়। তিনি এতো বিনয়ী, এতো ডাউন টু আর্থ এবং কো-আর্টিস্ট হিসেবে তারসঙ্গে কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। নতুন নির্মাতা হিসেবে চৈতনের সিনেমাটির নির্মাণকে ঘিরে ভীষণ উচ্ছ্বাস যেমন ছিলো তার মাঝে, ঠিক তেমনি অনেক শ্রমও দিয়েছে। তার শতভাগ সৎ চেষ্টা ছিলো, সেটা সকল শিল্পীর মধ্যেও বহন ছিলো। চিত্রনাট্যকার আনন জামান একটি অসাধারণ চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। যে চিত্রনাট্য পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি এ সিনেমায় কাজ করতে চাই। শ্রদ্ধেয় মাহমুদা আন্টি এখনো বেঁচে আছেন বিধায় তার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনে, তার মতো একজন জীবন্ত কিংবদন্তীর চরিত্রে অভিনয় করাটাই ছিলো আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।’
ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনসে অস্ত্রেও গুদাম ঘরের দায়িত্ব ছিলো এসপি শামসুল ইসলামের কাছে। পাকিস্তানী আর্মিরা তার কাছে গুদাম ঘরের চাবি চেয়েছিলো। কিন্তু তিনি পাকিস্তানী আর্মিদের সঙ্গে একটি গেম খেলে সমস্ত অস্ত্র চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেন। যে কারণে পরবর্তীতে যুদ্ধ শুরু হবার পর আর্মিরা তাকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে খুন করে। এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি ভীষণভাবে গর্বিত। এতে আমার স্ত্রীর ভূমিকায় ভাবনা অসাধারণ অভিনয় করেছে। ভাবনা ভীষণ ডেডিকেটেড একজন শিল্পী।’ চলতি বছরেই ‘দামপাড়া’ মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে ভাবনা অভিনীত অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ ও নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুটি’ সিনেমা মুক্তি পায়। এদিকে ফেরদৌস বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় ‘সুজন মাঝি’ সিনেমার কাজ নিয়ে।