মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

স্বপ্নের পদ্মাসেতু : মোংলা, পায়রা, বেনাপোল, ভোমরা বন্দরে আমদানী-রপ্তানী বাড়বে

বাসস :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

খুলনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা বন্দর আরও সচল হবে। তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। মোংলা, পায়রা, বেনাপোল, ভোমরা বন্দর থেকে আমদানী-রপ্তানী বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু এ অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে অর্থনৈতিকভাবেও খুলনাঞ্চল সমৃদ্ধ হবে। এখন এ অঞ্চলের যেসব সড়ক রয়েছে সেগুলোকে পরিকল্পিতভাবে স¤প্রসারণ করা দরকার। এজন্য তিনি সড়ক বিভাগকে নতুন নতুন প্রস্তাবনা সরকারের কাছে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ অঞ্চলের কোন প্রস্তাবনা গেলে তিনি সেটি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবেন। মাওয়ায় পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল ও ভোমরা স্থল বন্দর প্রাণ ফিরে পাবে। আরও কার্যকরী হবে এসব সমুদ্র ও স্থল বন্দরগুলো।
খুলনা মহানগরীর সদর থানার ময়লাপোতা এলাকার সন্ধ্যা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মানিক শেখ বাসসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশের শ্রেষ্ট অর্জনের নাম পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ঋণী করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনাঞ্চলের যেসব সংকীর্ণ সড়ক আছে সেগুলো স¤প্রসারণ করে পরিকল্পিত উন্নয়ন গড়ে তোলার ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি আশা করেন। শেখ হাসিনার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের আস্থা আছে, এমনকি শেখ হাসিনারও এ অঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আফরিন বলেন, শেখ হাসিনার এ ঋণ যুগ-যুগ ধরেও শোধ করা যাবে না। পদ্মা সেতু চালু হলেও খুলনায় বিমান বন্দরের চাহিদা শেষ হয়ে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আরও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রামপালের ফয়লার নির্মাণাধীন বিমান বন্দরের কাজকে এগিয়ে নেয়া উচিত। তিনি বলেন- শেখ হাসিনা যত জায়গায় হাত দিয়েছে সব জায়গার উন্নয়ন হয়েছে।
নগরীর ভ্রাম্যমাণ সত্তরোর্ধ সবজী বিক্রেতা মোতালেব মিয়া বাসসকে এ অঞ্চলের মানুষের অতীত দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, এক সময় খুলনা থেকে গাজী রকেটে বা লঞ্চে করে ঢাকায় যেতে হতো। সড়ক পথে যেতে পার হতে হতো ছয়টি ফেরি। এখন রয়েছে একটি ফেরি। সেখানেও তিন, চার অথবা পাঁচ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় বসে থাকতে হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক কষ্ট করে এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, অওয়ামী লীগ বুঝি না, বিএনপি বুঝি না। তবে শেখ সাহেবের বেটি শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করে দেশের অনেক উন্নতি করেছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপি’র একজন কর্মী ও খুলনা শপিং কমপ্লেক্স এর মোবাইল ও এ্যাসোসোরিজ বিক্রেতা খায়রুজ্জামান সজীব বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে এখনও বিএনপিকে দোষারোপ করে যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে সেগুলো পরিহার করে তিনি এর কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে খুলনার টেক্সটাইল, দাদা ম্যাচ, নিউজপ্রিন্ট, হার্ডবোর্ড মিলসহ যেসব পাটকল বন্ধ রয়েছে সেগুলো সচল করার জন্যও সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প কল কারখানাগুলো যদি লাভজনক হতে পারে তাহলে সরকারি মিলগুলো কেন লাভজনক করা যাবে না এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তা সুলতানা শিলু প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, পদ্মা ফেরিতে দুর্ভোগ আর হয়রানির শেষ ছিল না। একবার আমি ডাকাতের কবলে পড়ে যাই। পদ্মা সেতুর কারণে আমি আমার দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পাই। পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে নারীরা এ ধরনের জটিলতা ও হয়রানির শিকার হবে না। ঢাকায় কোন সভা বা মিটিং থাকলে দিনের ভেতরেই তা সম্পন্ন করে চলে আসতে পারবে। থাকা ও খাওয়া নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। তাই প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতুর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি পুন:বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং খুলনা জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে এ অঞ্চলের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন সহজে করা যাবে দেশের অন্যসব অঞ্চলে। বাড়বে ট্রানজিট সুবিধাও। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগমন ঘটবে। মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগের জন্য যেমন বিদেশীরা আসবে তেমনি সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের জন্যও বিমান বন্দর জরুরি। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশী-বিদেশী অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে জাপা নেতা মধু বলেন, দেশের মেগা প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোন রাজনীতি করা উচিত নয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com