বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনে ত্যাগীদের কোনো আফসোস বা হতাশা নেই। জীবন্ত শহীদেরা ইসলামী আন্দোলনের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জীবন্ত শহীদ ভাইদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ছাত্রশিবিরের জীবন্ত শহীদ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, এভাবে এতজন জীবন্ত শহীদদের একসাথে দেখতে পাবো তা ভাবিনি। ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা এ সুযোগ করে দিয়েছেন। যারা জীবনের গুরত্বপূর্ণ সম্পদগুলো হারিয়ে এখনো দ্বীন কায়েমের পথে এগিয়ে চলেছেন তাদের কোনো অভিযোগ, আফসোস, হতাশা বা প্রশ্ন নেই। বরং তারা আনন্দিত যে, শরীরের একটি অংশ আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নিয়েছেন। তিনি সমবেত লোকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হাশরের দিন আপনাদের অসম্পূর্ণ শরীর আল্লাহ তায়ালার কাছে বড় প্রিয় হবে। আপনাদের রক্ত, হাত, পা, চোখগুলো শহীদ হানজালা রা:, শহীদ খোবায়েব রা:-এর মতো মর্যাদা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন বলেন, হক বাতিলের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। কেয়ামত পর্যন্ত এ দ্বন্দ্ব চলবে। সত্যের অনুসারীরা যুগে যুগে বাতিলের মোকাবেলা করে সত্যকে বিজয়ী করেছেন, করছেন এবং করবেন ইনশাআল্লাহ। এ পথচলায় মহান আল্লাহ তায়ালা তার কিছু প্রিয় বান্দাকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নেন। কিছু ভাই নিজেদের হাত, পা চোখ হারিয়ে নিজেদের জীবন্ত শহীদ হিসেবে নজরানা পেশ করেন। যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন নিঃসন্দেহে তারা সফলকাম।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, যারা শাহাদাতের তামান্না নিয়ে ময়দানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তাদেরকেই আল্লাহ তায়ালা জীবন্ত শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন। দ্বীনের পথে হারানো হাত, পা, চোখগুলো আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না এটাই স্বাভাবিকতা। দ্বীনের পথে চলা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পরীক্ষা।
তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির শুধু একটি ইসলামী আন্দোলনই বরং একটি ভালবাসার, মমতার নাম। আজকে যারা জীবন্ত শহীদ আছেন তাদের সবার মনেই আক্ষেপ কেন আমরা শহীদ হয়ে যেতে পারিনি। অথচ আমাদের সহযাত্রীরা আমাদেরই সামনে শহীদ হয়ে গেছেন। আমি বিশ্বাস করি এ আক্ষেপ কাল কেয়ামতের ময়দানে তাদের উচ্চ মর্যাদা দান করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করি জীবন্ত শহীদেরকে আমরা সব সময় আমাদের পাশে পাবো ইনশাআল্লাহ।