ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে টালমাটাল সেখানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, একটা দেশ আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে ৩ মাসের ইমপোর্ট বিল পেমেন্ট করার মতো রিজার্ভ থাকতে হয়। পাকিস্তানের যেখানে ২ মাস ও শ্রীলঙ্কার মাত্র এক দিনের ইমপোর্ট বিল পেমেন্টের সামর্থ্য রয়েছে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশের সাত থেকে সাড়ে-সাত মাসের ইমপোর্ট বিল পেমেন্টে করার মতো রিজার্ভ রয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের সতর্কতার পাশাপাশি মিতব্যয়ী হতে হবে।
গতকাল শনিবার (১৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিআরএসএর আয়োজিত সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে সেবা দিতে সাব-রেজিস্ট্রারদের নির্দেশনা দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশে বদলে গেছে, এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনকে (বিআরএসএ) খাপ খাইয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই মামলা জট কমুক। কিন্তু মামলার শুরু হয় জমি-জমা নিয়ে। রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে, আপনাদের (সাব-রেজিস্ট্রারদের) আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিভাগে এখন পিএসসি থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় সাব-রেজি অফিস বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন দেশবাসীকে সেবা দিতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে দেশ প্রযুক্তিতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এই অবস্থায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলো ডিজিটাইজেশন বা ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালুর বিকল্প নেই। এই প্রক্রিয়া চালু হলে জনগণকে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী নিবন্ধন পরিদপ্তরকে উন্নীত করা হয়েছে। সব কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিআরএসত্রের সভাপতি মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরির্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, বিআরএসএ’র মহাসচিব মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।