১ম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আবুল হাসান এম সাদেক
প্রফেসর ড. আবুল হাসান এম সাদেক বলেন, একটি মানবশিশশু প্রকৃত মানুষ হিসেবে এমনি এমনি গড়ে ওঠে না। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। শিক্ষার সাথে শিল্পের যোগ মানুষকে সুসভ্য করে। তাই শিক্ষা সংস্কৃতি ও শিল্পের বিকাশ ছাড়া মানব সমাজের বিকাশ সম্ভব নয়। যিনি যা ধারণ করেন,তাই তার ধর্ম। নিঃসন্দেহে ইসলাম আধুনিক ও প্রগতিশীল ধর্ম। ইসলামের সাথে শিল্প-সংস্কৃতি ও সভ্যতার নিবিড় সম্পর্ক অস্বীকার করার অর্থ এই শান্তির ধর্মকেই অস্বীকার করা। আজ যে জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হলো তার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম ইসলামের সৌন্দর্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে, আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের উদ্যোগে ১৮ জুন ২০২২ শনিবার, বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ১ম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি চিত্রশিল্পী ইব্রাহীম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবুল হাসান এম সাদেক। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় যাদুঘরের সাবেক পরিচালক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমা খান মজলিস, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ফকির, দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের আহবায়ক আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, দেশীয়র সমন¦য়ক শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, বাংলাদেশ সঙ্গীতকেন্দ্রের সভাপতি শিল্পী তোফাজ্জল হোসাইন খান, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি শরীফ বায়জীদ মাহমুদ, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র এর সহ সভাপতি জাকিউল হক জাকি, প্যানভিশন টিভির সিইও মাহবুব মুকুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী ড. আব্দুস সাত্তারকে বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকের মোড়ক উন্মোচনও করেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি ইব্রাহীম মন্ডল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চারুশিল্পী পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম। শিল্পী আহসান হাবীব খান ও নাজমা আখতার এর যৌথ উপস্থাপনায় কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মহিবুল্লাহ গালিব। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী হাসনাত আব্দুল কাদের।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন-বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের আয়োজন আমাদেরকে বিমোহিত করেছে। সভ্যতার ইতিহাসে ইসলামী শিল্পকলাকে সমৃদ্ধ করবার জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। যেসব শিল্পী বন্ধুরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আয়োজনকে সফল ও সার্থক করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করেছেন তাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। চারুশিল্পী পরিষদের এই ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী নিশ্চয় একটি শক্তিশালী ক্যালিগ্রাফি আন্দোলনে রূপ দেবে নিশ্চয়। পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিল্পী ড. আব্দুস সাত্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন-বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদ আমাকে যেভাবে সম্মানিত করলো সে অনুভূতি প্রকাশের ভাষা আমার নাই। আমার কাঁধে আরো বেশি দায়িত্ব চেপে বসলো। আমি যেন আমৃত্যু এই শিল্পের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারি সেই তাওফিক কামনা করছি সকলের কাছে। বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের এই উদ্যোগ ও আয়োজনের সফলতা কামনা করছি। উল্লেখ্য, দেশের খ্যাতিমান ৭৫ জন নবীন- প্রবীণ শিল্পীর অংশগ্রহণে ১৮ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরে “নলিনীকান্ত ভট্টশালী” গ্যালারীতে ১১ দিন ব্যাপী জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী প্রদর্শিত হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি