সিলেটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদেরকে মাঝে-মধ্যে বিপদে ও দুর্যোগে ফেলেন, আবার তিনিই আমাদেরকে ভালো রাখেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। এই পরীক্ষার মধ্যে আমাদের প্রথম কাজ সবর করা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মা ও বোনেরা যারা এসেছেন সবাইকে আমরা ধৈর্য ধারণের কথা বলবো। সকলকে মনে রাখতে হবে আল্লাহ তায়ালা এই জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং সেই মহান আল্লাহর ইচ্ছাতেই আমাদের সবার ভালো-মন্দ থাকার ফায়সালা হয়ে থাকে। তিনি মানুষের ভালোর জন্য আল কুরআন দিয়েছেন। তিনি এই জমিন পরিচালনার নীতিমালা দিয়েছেন। আমরা যদি তা অনুসরণ করে এই জমিনটা পরিচালনা করতাম, তাহলে সবার প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত হতো এবং তিনি আসমান ও জমিনের বরকত আমাদেরকে দান করতেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেটের বন্যা দুর্গত ভাই-বোনদের কাছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ফুড প্যাকেট উপহার নিয়ে যান এবং সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে তা বিতরণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা উত্তরের আমির হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, মোবারক হোসাইন, জামায়াত নেতা শাহীন খান, সিলেট জেলা উত্তরের সদর উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল লতিফ লালা, উপজেলা সেক্রেটারি নাজির উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাহাত বিন সায়েফ চৌধুরী ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ মিছবাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. মাসুদ বলেন, নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে আজকে বাংলাদেশ গভীর সংকট ও আযাব-মুসিবতের মধ্যে পড়েছে। এই জমিন যখন আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানুষের মনগড়া আইনে পরিচালিত হয় তখন আল্লাহ আমাদেরকে বিপদ-মুসিবতে ফেলেন। মানুষের তৈরি করা আইনে মানুষের মুক্তি হতে পারে না, ফলে আল্লাহ চান আমরা যেন আল্লাহর আইনের দিকে ধাবিত হই।
তিনি বলেন, এই বিপদ ও বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে সরকারকে অনুরোধ করবো দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণকে মুক্তি দিন। আমরা ওই মহান আরশে আজিমের মালিকের দরবারে মাথানত করে তওবা ইস্তেগফার করছি। আমাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে, নাফরমানির কারণে আমাদের অপরাধ যেন আল্লাহ মাফ করে দেন। আমাদের ওপর থেকে এ বালা-মুসিবত সরিয়ে দিয়ে রহমতের চাদর দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখেন। বন্যার্ত এই ভাই-বোনদের পরীক্ষা সহজ করে দেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা: মানবতার দূত হিসেবে মানবতার কল্যাণে যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন, সেই পথ অনুসরণ করেই আমরা প্রিয় বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। তার জন্য মাইলফলক হিসেবে এই সিলেট মহানগরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা যতটুকু সুযোগ পেয়েছি সিলেটের বানভাসি মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে উপহার তুলে দিয়েছি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এখানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি