উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা ও ভাঙ্গনের কারনে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সরকারী তথ্য অনুযায়ী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৭৫০টি পরিবারের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধীনে ৪শ পরিবারের মাঝে ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও ২হাজার ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম ও স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়াম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। বন্যার কারনে ফসল তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে। এবং হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে বাস ভাসিরা। সোমবার সন্ধা হতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হলেও। সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার) ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (পাউবো)। বন্যার কারনে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজার, একতার বাজার, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্বছাতনাই, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা ভেন্ডাবাড়ী ও সাতুনামা, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া মৌজার তিস্তার চর এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ী গ্রামসহ ৫টি ইউনিয়নের মোট ২হাজার ৭৫০টি পরিবারের প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবং ৫টি ইউনিয়নের ১৫০টি পরিবার পানি উন্নয়ন বের্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে আশ্রয় নিয়েছে। (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে মঙ্গলবার বিকেল পয্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার) ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বন্যার কারনে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখা হচ্ছে। এবং সরকারের পক্ষে আমরা সব সময় বন্যার্তদের পাশে রয়েছি।