একদিকে স্বামীর সংসারের ঘানি আরেক দিকে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী আমেনা বেগম। তিনি স্বামী-সংসারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে হাঁস পালন শুরু করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন। তার এই প্রচেষ্টা দেখে বাড়তি আয়ের আশায় এলাকার অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন হাঁস পালনে। আমেনা বেগমের বাড়ী উত্তর বঙ্গের শেষ জেলার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের কৃষক অহিদুল হকের স্ত্রী। আমেনা গরিব অসহায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় লেখাপড়া তেমন একটা করতে পারেননি। তিনি দুই পুত্র এক কন্যা সন্তানের জননী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্পের অধিনে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য সামাজিক সচেতনতা ও দুইদিন ব্যাপী হাঁস পালনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন আমেনা। এছাড়াও করোনাকালে তিনি পাশের গ্রামের এক নারীর হাঁস পালন দেখেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেল, প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় পাকা সড়কের দুপার্শ্বে মাটির কাজের জমানো সঞ্চায়ের ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক দিনের ৫০০ টি দেশি প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা কিনে পালন পালন শুরু করেন আমেনা। তিনি এর আগে বাড়ীতে খুচরা কাপড়ের ব্যবসা করে সাফল্যের মুখ দেখতে না পারলেও করোনাকালে গত বছর হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন। এবছর এই ৫০০ হাসের বাচ্চা তিন মাস লালন পালন করে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছেন আমেনা বেগম।