মানিকগঞ্জ জেলার একাধিকবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাউল মমতাজ বেগমের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী সুনামগঞ্জে বিতরন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় বাউল সমিতি ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটি। ২রা জুলাই শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সংগ্রহশালায় আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত ত্রাণসামগ্রী স্থানীয় বাউল শিল্পীদের মধ্যে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জননেতা নোমান বখত পলিন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সংগীত শিল্পী অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ। বাউল সমিতির সভাপতি বাউল শাহজাহান এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় বাউল সমিতি ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গীতিকার বাউল ওস্তাদ কাজল দেওয়ান ও সাধারন সম্পাদক গীতিকার বাউল লতিফ সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় বাউল সমিতি ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক মীরাজ দেওয়ান, ইমন সরকার,তথ্য ও প্রচার সম্পাদক জহির দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক মতিন দেওয়ান, সহ দপ্তর সম্পাদক বিজয় দাস, অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর বয়াতি, সিলেট শাখার সমন্বয়কারী বাউল সূর্যলাল দাস, সাংস্কৃতিক সংগঠক ফিরোজ আহমদ, গীতিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও গীতিকার আসাদ আল মাইজভান্ডারী। আলোচনা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পরপরই বাংলাদেশ জাতীয় বাউল সমিতি ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির দেয়া খাদ্যসামগ্রী এবং বৃটিশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রতিনিধি ফারুক চৌধুরী প্রদত্ত শুকনো খাবার সুনামগঞ্জের ৫০ জন বাউল শিল্পীদের মধ্যে প্রদান করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। মানিকগঞ্জের এমপি বাউল মমতাজ বেগমের পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, সোয়াবিন, চিনি, লবন ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। সভায় বক্তারা বলেন, এ পর্যন্ত যেসব ত্রাণসামগ্রী সুনামগঞ্জে এসেছে তার বেশীরভাগই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন পেলেও সুনামগঞ্জের বাউল শিল্পীরা বঞ্চিত রয়েছে। শহরতলীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলায়, ইউনিয়নে ও গ্রামাঞ্চলে এখনও হাজার হাজার বাউল শিল্পী ও তাদের পরিবারবর্গরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। তাদের পাশে যেমন উপজেলা প্রশাসন দাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছেনা তেমনি বাউল শিল্পীদেরকে উপেক্ষা করে চলেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত। বক্তারা বাউল শিল্পীদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।