আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে তৃতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার দেয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবারের (৭ জুলাই) টিকিট। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেও এমন ভিড় ছিলো কমলাপুর ও শহরতলী রেলস্টেশনে। অনেকেই একদিন আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন টিকিটের জন্য। দীর্ঘ অপেক্ষার পরো টিকিট পাওয়া নিয়ে শঙ্কা অনেকের। অনলাইনে টিকিট না পেয়ে সরাসরি কাউন্টারেই আসছেন বেশির ভাগ মানুষ। তারপরও তাদের কাছে টিকিট যেন সোনার হরিণ। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও শনিবার থেকেই স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো টিকিটপ্রত্যাশী। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এসব টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। এর মধ্যে একটি অংশ রয়েছেন, যারা প্রথম দিন লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি। এদিকে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আগেভাগেই স্টেশনে এসেছেন আগাম টিকিট পাবার জন্য। ঈদে সড়কপথে যানজট, তাছাড়া গরম-বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি এড়ানোর আশঙ্কায় মানুষজন ট্রেনে বাড়ি যেতে আগ্রহী। আর সে কারণেই প্রতি ঈদের আগে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটার জন্য হাজারো বিড়ম্বনা স্বত্বেও মানুষ ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে লাইন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন।
গত শুক্রবার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১ জুলাই দেয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, আজ ২ জুলাই দেয়া হচ্ছে ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের ও ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের আগাম টিকিট। এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। রাজধানীর ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।