গোপালপুরে সিংহভাগ গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঈদে গরু নিয়ে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় খামারিরা। কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত গরু মারা যাওয়ায় হতাশ বনে গেছেন তারা। রোগার্ত গরুর গা গরম হয়ে মাংসপিন্ড ফুলে চামড়ায় আঁচিলের মত অসংখ্য দাগ উঠে সারা শরীর ভরে যায়। চামড়া ফেটে ক্ষতে পরিণত হয়। সময়মত সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে কয়েক দিনের মধ্যে আক্রান্ত গরু মারা যায়। অর্ধেক দামেও রোগার্ত গরুর ক্রেতা না মেলায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে বিক্রেতারা। আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতিদিনই প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালে ও গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে খামারি ও প্রান্থিক পর্যায়ের কৃষকরা ভিড় করছেন। সম্প্রতি নবগ্রাম উত্তরপাড়া আঁকা নামে একজন প্রান্তিক খামারির ছোট বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ রোগে আক্রান্ত গরুর চামড়া বেশি ক্ষতি হয়ে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে কোরবানির ঈদে কোন ক্রেতাই ক্ষত গরু কিনতে চায় না। এতে খামারিরা পড়েছে বিপাকে। মশা-মাছির মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ভাইরাসজনিত এ রোগ ছড়ায়। ভ্যাক্সিন দিয়ে আক্রান্ত থেকে রক্ষা করা যায়। এ রোগে গরু মারা যাওয়ার হার ১-৩ শতাংশ। এটি ক্ষুরা রোগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর। প্রান্তিক চাষি জয়নাল মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে তার একটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শে চিকাৎসা করে এখন ভালো হয়েছে। তবে চামড়ার দাগ মিলায়নি। যে কারণে ক্রেতারা অর্ধেক দাম বলে চলে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, এ রোগের সরকারি কোন ভ্যাকসিন না থাকলেও প্রাণী সম্পদ অফিসের গাইডলাইন মোতাবেক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে বাছুরগুলো সহজে ভালো হয়না। এ বছর কোরবানী গরুর চাহিদা সাড়ে ৯ হাজারের মত। রোগমুক্ত গরু আছে ১৪হাজারের বেশি। চাহিদার তুলনায় বেশি গরু থাকায় কোরবানীর গরু কিনতে সমস্যা হবেনা।