বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার না থাকলে হাজারটা পদ্মা সেতু করলেও কোন লাভ হবে না। জনগণের আস্থা অর্জন করা যাবে না। গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন দিয়ে দেখুক না ওনাদের প্রতি কতটুকু আস্থা আছে? হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনো লাভ হয় না। আইয়ুব খান যে উন্নয়ন করেছিল পাকিস্তান আমলেৃ কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, জনগণ যদি গণতন্ত্রকে না পায়, তার অধিকার যদি না থাকে, ভোটাধিকার না থাকে সেখানে কোনো লাভ হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই— এটা নির্ভর করবে নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হবে কিনা তার ওপর। যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই দৃশ্যমান হবে। আর যদি না হয় তাহলে হবে না। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে যদি একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হয়, এখানে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। একেবারে স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আসেন তাহলেও সেটাকে সুষ্ঠু করতে পারবেন না।
সরকার দুর্গতদের পাশে নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। বানভাসি মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষ করে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সরকারের কর্মকা- দৃশ্যমান নয়। জনশুমারি-গৃহগণনা সমীক্ষা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশজুড়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সঠিকভাবে হয়নি বলে পরিকল্পনামন্ত্রীর স্বীকারোক্তি থেকে বুঝা যায় কী অবস্থা। প্রকৃতপক্ষে জনশুমারি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারের আমলে সব ধরনের সমীক্ষা জরিপ এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হওয়ায় প্রকৃত তথ্য কখনোই পাওয়া সম্ভব হয়নি। বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রচ- লোডশেডিং হচ্ছে, এটা ভয়াবহ। সরকারের শতভাগ বিদ্যুতের যে কথা আজকের এই অবস্থা (লোডশেডিং) প্রমাণ করে যে, সেগুলো বাকসর্বস্ব কথা। এগুলো (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা, এসব করে নিজেদের পকেট ভারী করা, বিদেশে গিয়ে বাড়ি-ঘর তৈরি করা।