আধুনিক জীবনে কাজের অত্যধিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিভিন্ন ব্যস্ততার জাঁতাকলে রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতেই পারে। অনেক সময়েই পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে যে, ভিতরের বিপদ বাইরে থেকে আঁচ করা সম্ভব হয় না। হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক ঘনিয়ে আসে। চিকিৎসকরা মনে করেন এই বিপদের মূলে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সময়ে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা বাড়ত। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আসলে শরীরের সব কলবব্জাই কমজোরি হয়ে পড়ে। রক্তবাহ নালীগুলিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই বয়স্কদের রক্তচাপ অনেক সময়ই একটু বেশির দিকে তাকে। ইদানীং বয়স ৩০ পেরলেই ঝুঁকির গ-ি শুরু হয়ে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে যাদের, তাদের প্রতিনিয়তই ওষুধের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হয় একটা স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা ও সুস্থ জীবনযাত্রা। ওষুধের পাশাপাশি রোজের ডায়েটে কয়েকটি পানীয় রাখলেও এই রোগকে অনেকটাই বাগে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে কোন পানীয়ে ভরসা রাখবেন।
১) বিটের রস: বিটের রসের মধ্যে অজৈব নাইট্রেট পাওয়া যায়। এই যৌগ শরীরে নাইট্রেট অক্সাইড তৈরি করে যার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি গুণ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিট এন্ডোথেলিয়াম কোষের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এই কোষ রক্তবাহী নালির ভিতরে থাকে যা রক্তবাহী নালিকাগুলিকে ঠিক মতো চালাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
২) গাজরের রস: গাজরে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই যৌগ ভীষণ উপকারী। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীর ডায়েটে গাজরে রস রাখতেই পারেন।
৩) পালংশাকের রস: পালংশাকও পটাশিয়ামের ভাল উৎস। এই যৌগ রক্তের প্রবাহমান বাড়াতে সাহয্য করে। রক্তনালিগুলিকে শান্ত করে। এই শাকে লুটিন নামক এক বিশেষ যৌগ থাকে, যা ধমনী প্রাচীরগুলিকে পুরু হতে বাধা দেয়। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।