মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বেগুন চাষে বেশি ফলনের পদ্ধতি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২

আমাদের দেশে বেগুনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি অনেক জনপ্রিয় একটি সবজি। বিশেষ করে রোজার মাসে এর চাহিদা এতোটাই বেড়ে যায় যে, বেগুনের মূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যায়।
এ ছাড়া সারাবছর বেগুনের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই বেগুন চাষ বেশ লাভজনক কাজ। তবে বেগুন চাষের সঠিক পদ্ধতি আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আর এতে করে বেগুনের ফলন নিয়ে চাষিরা ভালো ফলন পান না। বেগুনের বেশি ফলন পেতে হলেন সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করা প্রয়োজন।
জেনে নেওয়া যাক যেভাবে বেগুন চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। সাধারণত বেগুনের চারা মাঘ-ফাল্গুন মাসে গ্রীষ্মকালীন, বৈশাখ মাসে বর্ষাকালীন, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে শীতকালীন ফসলের জন্য রোপণ করা হয়ে থাকে।
বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা করে তা মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা এমন স্থানে তৈরি করতে হবে যেখানে বৃষ্টির পানি জমবে না, অর্থাৎ সুনিষ্কাশিত হতে হবে, সব সময় আলো-বাতাস পায় অর্থাৎ ছায়ামুক্ত হতে হবে।
বীজতলা তৈরির জন্য মাটি গভীরভাবে (অন্তত ২০ সেন্টিমিটার) চাষ দিতে হবে। বীজতলার মাটি হতে হবে উর্বর। উর্বরতা কম থাকলে জৈব সার ও সামান্য পরিমাণ ফসফেট জাতীয় সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতি বর্গ মিটার বীজতলার জন্য ০.১০ ঘন মিটার পচা গোবর সার ও ৩০ গ্রাম টিএসপি সার ব্যবহার করা যেতে পারে। চাষের পর সম্পূর্ণ জমিকে কয়েকটি ছোট ছোট বীজতলাতে ভাগ করে নিতে হবে।
প্রতিটি বীজতলা দৈর্ঘ ৩-৫ ঘন মিটার, প্রস্থ ১ মিটার ও পাশ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ফাঁকা জায়গা রাখা উচিত। পাশাপাশি দুটো বীজতলার মধ্যে ৫০-৬০ সেন্টিমিটার ফাঁকা জায়গা রাখা দরকার। এ ফাঁকা জায়গা থেকে মাটি নিয়ে বীজতলা উঁচু করে নিতে হবে। অল্প সংখ্যক চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা হিসেবে কাঠের বাক্স, প্লাস্টিকের ট্রে অথবা বড় টব ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাধারণত মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময় চারাতে ৫-৬টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। বেগুনের চারার বয়স একটু বেশি হলেও লাগানো যেতে পারে।
প্রয়োজনে দুই মাস পর্যন্ত চারা বীজতলার রেখে দেওয়া যায়। চারা তোলার সময় যাতে শিকড় নষ্ট না হয় সেজন্য চারা তোলার ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে। চারা রোপণ দূরত্ব, জাত, মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন মৌসুমের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত বড় আকারের বেগুনের জাতের ক্ষেত্রে ৯০ সেন্টিমিটার দূরে সারি করে সারিতে ৬০ সেন্টিমিটার ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে এবং ক্ষুদ্রাকার জাতের ক্ষেত্রে ৭৫ সেন্টিমিটার সারি করে সারিতে ৫০ সেন্টিমিটার ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে। জমিতে লাগানোর পর পরই যাতে চারা শুকিয়ে না যায় সে জন্য সম্ভব হলে বিকেলের দিকে চারা লাগানো উচিত।
বেগুন মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান শোষণ করে। এজন্য বেগুনের সন্তোষজনক উৎপাদন সার ব্যতীত সম্ভব নয়। সারের পরিমাণ মাটির উর্বরতা শক্তির উপর নির্ভর করে।
বেগুন চাষের জন্য হেক্টর প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার দিতে হবে। প্রথম কিস্তি সার চারা লাগানোর ১০-২৫ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তি বেগুন ধরা আরম্ভ হলে এবং তৃতীয় বার বেগুন তোলার মাঝামাঝি সময়ে দিতে হবে। জমিতে রস না থাকলে সার প্রয়োগের পর পরই সেচ দিতে হবে।
ফিউজিয়াম ছত্রাক দ্বারা বেগুনের ঢলে পড়া রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে ও গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাওয়ার উপযোগী বেগুন ক্ষেত থেকে তোলার সময় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গায়ে যেন আঘাত না লাগে বা ক্ষত সৃষ্টি না হয়। গাছ থেকে তোলা বেগুন কাঁচা পাতা অথবা খড়ের উপর রাখতে হবে যেন বেগুনে আঘাত না লাগে; এটা অতি প্রয়োজনীয়।
তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com