সুনামগঞ্জের প্রবাসি অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার পর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ছোট-বড় গর্তে বেহাল দশায় দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারীদের। জগন্নাথপুর টু সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যখানে সড়কের বেহাল দশা। জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার মধ্যখানে এ সড়কে সারা বছরই মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। উপজেলার ভবের-সৈয়দপুর বাজার হয়ে নয়াবন্দর-গোয়ালাবাজার সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তে মানুষের জীবন মরণ নিয়ে সড়কে চলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এ সড়কে রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ, দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই, হাজার হাজার মানুষ ও পথচারীর। এ অঞ্চলের মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্তা এ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্থার না হওয়ায় সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর বাজার হয়ে নয়াবন্দর-গোয়ালাবাজার সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে ইটের-পাতর আর পাতর। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে দুর্ভোগ আরো বাড়ে। এতে যানবাহনযোগে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। প্রায় গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবি ও গবেষক, সাবেক জনন্দিত সফল ইউপি চেয়ারম্যান দীনুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাজী সোহেল আহমদ খান টুনু জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি দ্রুত রাস্তাটির সংস্কারের কাজ ব্যবস্থা নেওয়ার। সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ছাত্রনেতা ইসহাক মিয়া জানান, এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন, এ সড়কে সুস্থ মানুষ একবার চলাচল করলে আরেকবার গাড়ি দিয়ে চলতে মন চায়না। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দ্রুত সড়কটি সংস্কার চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য।