মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকেরা। মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে যুগোপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে লাতাগার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন ও মহাসড়ক অবরোধের হুশিয়ারী দেন তারা। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নিউ সমনবাগ অফিস কার্যালয় প্রাঙ্গণে নিউ সমনবাগ পঞ্চায়েত ও চা শ্রমিক এবং নিউ সমনবাগ চা বাগান (মোকাম ডিভিশন) পঞ্চায়েতের আয়োজন কর্মবিরতি সমাবেশে এমন ঘোষণা দেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চা শ্রমিকেরা দিশেহারা। ১২০ টাকার মজুরি দিয়ে এখন শ্রমিকদের সংসার চলে না। বর্তমান বাজারে পেট্রোল এক লিটারের দাম ১৩৫ টাকা সেখানে ১২০টাকা তো হাস্যকর। বর্তমানে চাল, ডাল, মসলা কিনলে মাছ কেনার টাকা থাকে না। সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে শ্রমিকদের অনেক কষ্ট করতে হয়। বাগান মালিকদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধির কথা থাকলেও মালিকেরা নানা টালবাহানায় মজুরি বাড়াচ্ছেন না। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও বছর তিনেক ধরে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা শ্রমিকের মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে এ চা বাগানে তিনদিন কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে। সমাবেশে বর্তমান বাগান সভাপতি কন্দ মুন্ডার সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক সর্দার রাঙ্গা চরন সাওতালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মতিলাল রায়, বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালীপ্রসাদ ভরদ্বাজ, বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ফজল তাঁতী, বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহসভাপতি বিপ্তি কান্তি, মোকাম বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহসভাপতি স্বরস্বতি সাঁওতাল, মোকাম বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সহসভাপতি নারায়ন কালোয়ার, চা শ্রমিক নেতা রাসবিহারী রবিদাস ও চা শ্রমিক সিতারাম গড়াইত প্রমূখ।