চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। তবে অতিরিক্ত চুলে পড়ার কারণে ধীরে ধলে পাতলা হতে শুরু করে মোট চুলের পরিমাণ। এটি তখনই ঘটে যখন নতুন চুল গজায় না। জীবনযাপনে অনিয়ম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা, দূষণ কিংবা কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে এমনকি নতুন চুলও গজায় না।
চুল পাতলা হওয়ার প্রধান কারণগুলো সম্পর্কে ব্লসম কোচার গ্রুপ অফ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ডা. ব্লসম কোচার জানিয়েছেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী কী-
স্ট্রেস: যখন আমরা খুব বেশি চিন্তা করি, তখন আমাদের পুরো স্নায়ুতন্ত্র ও পাচনতন্ত্র চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে আমরা যা খাই বা ব্যবহার করি না কেন তা প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয় না ও চুল পড়ার সমস্যা কমে না। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।
ডায়েট: চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডায়েটেও পুষ্টিকর সব খাবার রাখতে হবে। যেমন- বায়োটিন, জিংক ও ভিটামিন ডি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসবের ঘাটতি চুল পাতলা করে। আসলে ভিটামিন ডি এর অভাব অ্যালোপেসিয়া বাড়ে। তাই সবারই উচিত একটি সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা।
খুশকি: অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। যা চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। খুশকি কিংবা ফ্লেক্স তৈরি হলে কমবেশি সবাই তা চুলকান কিংবা আঁচড়ান। যা চুলের গোড়া আরও দুর্বল করে দেয়। ফলে চুল পাতলা হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়।
ওজন কমে গেলে: ওজন কমানোর চেষ্টা করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে কমবেশি সবাই জানেন ওজন কমলে চুল পড়ার পরিমাণও বাড়তে থাকে। এর কারণ হলো ওজন কমানোর সময় আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিও হারায়। এর ঘাটতির কারণেই চুল পাতলা হতে শুরু করে।
বয়স: পুরুষ হোক বা নারী বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সবার শরীরেই নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। ক্রমশ চুল পাতলা হতেও শুরু করে।