মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ৫ম

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

 ২০১৯ সালে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৯ সালে রাজধানীতে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংগঠনÍহেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের ‘এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশের কথা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে বার্ষিক গড় সূক্ষ্ম বস্তুকণার (পিএম২.৫) উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের (এনও২) উপস্থিতি ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম। সূক্ষ্ম বস্তুকণা হলো বাতাসে ভেসে থাকা সব কঠিন ও তরল কণার সমষ্টি, যার অনেকই স্বাস্থ্যের বিপজ্জনক। এ জটিল মিশ্রণে জৈব ও অজৈব উভয় কণা অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমনÍধুলাবালু, পোলেন, ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট কালো গুঁড়া, ধোঁয়া ও তরল ড্রপলেট। নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বায়ুদূষণ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং আবাসিকে রান্না ও কিছু গরম করার জন্য প্রায়শই পোড়ানো জ্বালানি থেকে সৃষ্টি হয়। যেহেতু শহরের বাসিন্দারা প্রচুর যানবাহন চলে এমন ব্যস্ত সড়কের কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন, তাই তারা প্রায়শই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় অধিকহারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের দূষণের শিকার হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ুমান নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতি ঘনমিটারে বার্ষিক পিএম২.৫ উপস্থিতি ৫ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রাম সহনীয় মাত্রা। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় শহর ও শহর এলাকাগুলোয় বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ। এতে সাত হাজারেরও বেশি শহরের বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়েছে।
২০১০-১৯ সালের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এতে বলা হয়, বায়ুদূষণের প্রধান দুটি উপাদানের সংস্পর্শে আসার বৈশ্বিক ধরনটি একেবারেই ভিন্ন। পিএম ২.৫–এর সংস্পর্শে আসার প্রবণতা নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শহরে বেশি। অন্যদিকে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশগুলোর শহরেও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে আসে লোকজন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ৭ হাজার শহরের মধ্যে ৮৬ শতাংশ শহরেই ডব্লিউএইচওর বেঁধে দেওয়া প্রতি ঘনমিটারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রামের সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতে ২৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। জীবাশ্ম জ্বালানি ও কাঠ পোড়ানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, ইটভাটা ও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-ের কারণে বাংলাদেশের শহরগুলোর খারাপ বায়ুমান প্রায়শই বৈশ্বিক শিরোনাম হয়। বাংলাদেশে শুধু ঢাকার বাসিন্দারাই নয়, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দারাও বায়ুদূষণের শিকার। ডব্লিউএইচওর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com