মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

দুর্গাপুরে আমন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির দুশ্চিন্তায় কৃষক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলাতে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলেও বর্তমানে চলছে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টি। খাল বিল ও নদীর পানি শুকিয়ে, ফসলের জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলের মাঠ। পানির কারণে কৃষকের আমন ধান রোপণের সময় বিলম্ব হওয়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে সেচ পাম্প দিয়ে আমন ধান রোপনের প্রস্ততি নিচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময় ঠিক এই মুহূর্তে মাঠ-ঘাট বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর থাকে। কৃষক আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে দুর্গাপুর অঞ্চলের কৃষকরা আমন রোপান করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। কিন্তু এবছর এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ আর তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টিতে একদিকে জনজীবন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জীব-বৈচিত্র সহ ফসলের চাষাবাদ। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখছেন কৃষক। এতে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ নিয়ে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় ৩৪, ব্রি-৪৯, সম্পা কাটারী, ব্রি ৯৩, ৯৪, রঞ্জিত এবং ধানিগোল্ড হাইব্রিড জাতের টিয়া, এজেড ৭০০৬ জাতের রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়ে থাকে। এবছর এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় মোট ১৬ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ইতিমধ্যে পুরণ হয়েছে। প্রতি বছর আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির পানিতে আমন ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষক। কিন্তু এবার মাস ব্যাপী অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের মাঠে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে পানির অভাবে অনেক কৃষক ধান রোপণ করতে পারছেন না বিধায় দুঃচিন্তায় রয়েছেন তারা। গেল বন্যার পর এই ফসলের উপরই নির্ভর ছিলো তাদের। উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক হযরত আলী এ প্রতিনিধি কে বলেন, এবছর শ্রাবন মাস জুড়েই চলছে স্বরণ কালের খরা। ১৫ আষাঢ় থেকে আমন ধান রোপন করা শুরু হলেও বৃষ্টির পানির অভাবে জমিতে ধান রোপন করতে পারছি না। একইকথা বলেন পৌরসভা এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম। তিনি ১৩ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবেন। শ্রাবন মাস শেষ হলেও এখনও বৃষ্টির দেখা নেই। তাই তিনি শ্যালো মেশিন প্রস্তত করছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধানের জমি প্রস্তত এবং রোপন শুরু করবেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান এ প্রতিনিধি কে বলেন, সাধারণত আষাঢ় মাসের ২০ থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়। অনাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপদাহ যদি আরো সপ্তাহ খানেক চলে, তাহলে রোপা আমন চাষ ব্যপক ক্ষতির সন্মুখিন হতে পারে। মোটা ধানের জন্য একটু অসুবিধা হলেও চিকন জাতের ধানের জন্য তেমন ক্ষতি হবেনা। দুই এক সপ্তাহের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে গভীর নলকূপ চালু করে ফসল ঘরে তুলতে হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com