বেশ কিছু দিন যাবত ফর্মে না থাকলেও অভিজ্ঞতার কারণে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখনো দলকে অনেক কিছুই দিতে পারেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গত সোমবার সাকিব বলেন, ‘তারা দু’জন (মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ) আমাদের দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ বিষয়ে তারা বেশ সচেতন এবং তারা জানেন তাদের কী দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জ কী।’ গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মাত্র একটি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। কিছু সিরিজে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। আর কিছু সিরিজে বিশ্রাম দিয়ে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল তাকে।
দলে জায়গা হারাননি আরেক অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদুল্লাহ। তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের পর থেকে কোনো বড় ধরনের পারফরম্যান্স নেই তার। এ সময় ১৪ ম্যাচে ১০০ দশমিক ৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২০৯ রান করেন টাইগারদের সাবেক এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। বিশ্রামের অজুহাতে গত জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু ২৭ বলে মাত্র ২৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। পরে ওয়ানডে সিরিজেও তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি দলের সবচেয়ে বেশি বয়সী এই ক্রিকেটার।
ধারণা করা হয়েছিল, আসন্ন এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সাকিব আল হাসানের কারণে সেটি আর হয়নি। কারণ বিশেষভাবে দু’জনকে দলে চেয়েছিলেন সাকিব। তাই ওই দুই ক্রিকেটারকে দলে রেখেই এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু তাই নয়, তাদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে দলের।
সাকিব বলেন, ‘নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে তারা জানে। আমার আর কিছু বলার নেই। এতদিন খেলার পর পুরো পরিস্থিতি খুব ভালোভাবেই জানেন তারা। আমরা তাদের কাছ থেকে কী আশা করি, সেটিও জানি। তারা দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে উইকেট কিপিং ছাড়ার ঘোষণা দেন মুশফিক। তবে সাকিব চাচ্ছেন এবার এশিয়া কাপে উইকেটের পেছনের দায়িত্বে থাকুক মুশফিক। এর পেছনে মুশফিকের অভিজ্ঞতাই সাকিবের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
সাকিব বলেন, ‘মুশফিক উইকেট কিপিং করলে আমার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম। সে খুব সহজেই ফিল্ডিং সাইড পরিবর্তন করতে পারে এবং তার অভিজ্ঞতা আছে বলে আমার সাথে পরামর্শ করারও দরকার নেই। তাই আমার লাইফটাই সহজ হয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি অন্য কিছু ভাবতে পারি। ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে সব সময় চিন্তা করতে হবে না। ১১ জন খেলোয়াড়কে মাঠে দেখা আমার পক্ষে সবসময় সম্ভব নয়। সেটা শুধু উইকেটরক্ষকই ভালো দেখতে পারেন। তার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকাটা স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য সহজ হয়।’